আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে বরগুনা-১ (বরগুনা সদর, আমতলী, তালতলী) আসনের রাজনীতির মাঠ। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও রাখছেন নিয়মিত যোগাযোগ। কেউ কেউ আবার ভোটারদের সমর্থন আদায়ে চালিয়ে যাচ্ছেন গণসংযোগ, সভা সমাবেশ। হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার। এ ছাড়াও ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা নির্বাচনী এলাকা। বড় দু’টি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে রয়েছে নতুন মুখের উপস্থিতি।বরগুনা-১ আসনে বরগুনা সদর, আমতলী ও তালতলী উপজেলাসহ রয়েছে ২টি পৌরসভা ও ২৪টি ইউনিয়ন। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৪ লাখ ১৪ হাজার ১৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪ হাজার ৪৬ জন ও নারী ভোটার রয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৮৯ জন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতা দেলোয়ার হোসেনকে হারিয়ে বরগুনা-১ আসনে এমপি নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ।
আওয়ামী লীগ: ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় আলোচনায় আছেন বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাবেক এমপি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর কবীর, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম সরোয়ার টুকু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ছাত্রনেতা মশিউর রহমান শিহাব, বরগুনা পৌরসভার সাবেক মেয়র বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম সরোয়ার ফোরকান, আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান জিম এম দেলোয়ার হোসেন, সাবেক এমপি মরহুম নিজাম উদ্দিন আহমেদ তালুকদারের স্ত্রী জাকিয়া এলিচ।বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু গোটা দক্ষিণবঙ্গের একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ।
এই অভিজ্ঞ নেতা টানা ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত। ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে রয়েছেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে চারবার (১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪) এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রথমে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী পরে খাদ্য উপমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলে তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন। বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু মানবকণ্ঠকে বলেন, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছি দীর্ঘ সময় ধরে। তার ফলশ্রুতিতে দীর্ঘদিন ধরে দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। দলে অনেকে মনোনয়ন চায় এটা ভালো লক্ষণ। আমাদের দল শক্তিশালী দল। এখানে নৌকা মার্কা বিগত বছরগুলোর ন্যায় বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। আগামী নির্বাচনে আমার নেত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত।
মো. দেলোয়ার হোসেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। বিদ্রোহী নেতা হিসেবেই তিনি সবার কাছে পরিচিত। বর্তমান এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিপরীতে বিদ্রোহী নেতা হিসেবে ২০০১ সালে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। সর্বশেষ ২০১৬ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন তিনি। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এই নেতা।মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় আছেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. জাহাঙ্গীর কবির। দীর্ঘদিন দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে দলকে সংগঠিত করেছেন তিনি। এ ছাড়াও বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও তিনি। দলের দুর্দিনে সামনের সারিতে থেকে কাজ করে গেছেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের অভিজ্ঞ এই নেতা।
সর্বশেষ তিনি জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় আছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক ও জেলা যুবলীগের সভাপতি, বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ স¤পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ। অনিয়ম ও দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে বিগত নির্বাচনগুলোতে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। বিগত পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও মাঝপথে গুরুতর আহত হয়ে নির্বাচন বর্জন করেন তিনি। তিনি মানবকণ্ঠকে জানান, বর্তমান এমপির সঙ্গে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনো সমন্বয় নেই। দলের এ অবস্থায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি এই নেতৃত্বের পরিবর্তন। সারাদেশ এগিয়ে গেলেও বরগুনায় দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন নেই। এসব কারণে মানুষ নতুন নেতৃত্ব দেখতে চায়।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় আছেন বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, বরগুনা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসাংগঠনিক স¤পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংগঠনিক স¤পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু। গোটা দক্ষিণাঞ্চলে সুবক্তা হিসেবে যিনি সর্বজন প্রিয়। সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও বলিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধিকারী এই নেতাকে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের টুকু সমর্থিত নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে গোলাম সরোয়ার টুকু মানবকণ্ঠকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বরগুনার নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন নেই। তাই তৃণমূল নেতাকর্মীরা এখন পরিবর্তন চায়।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবর্তনের রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এবং তরুণ নেতাদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি।মনোনয়ন তালিকায় শক্ত অবস্থানে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম সরোয়ার ফোরকান। ২০০১ সালে তৎকালীন বরগুনা ৩ (আমতলী-তালতলী) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেড়ে দেয়া আসনে উপনির্বাচন করলেও বিজয়ী হতে পারেননি। এরপর বিগত নির্বাচনগুলোতে মনোনয়ন চাইলেও তিনি মনোনয়ন পাননি। আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের জন্য আশাবাদী তিনি।সম্প্রতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে দান-অনুদানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় মনোনয়ন যুদ্ধের তালিকায় নাম উঠে এসেছে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ী মশিউর রহমান শিহাবের। তিনি বলেন, আমি মাঠে ছিলাম, আছি এবং থাকব। শুধু মনোনয়ন নয়, বরগুনার মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করতে আমি আমৃত্যু লড়ে যাব।
বিএনপি: বিগত নির্বাচনগুলোতে বরগুনা সদর থেকে জেলা বিএনপির কোনো শক্ত প্রার্থী না থাকায় ভরাডুবিতে ছিল বিএনপির অবস্থান। নির্বাচনে অংশ নেয়া তো দূরের কথা সদর থেকে শক্ত মনোনয়ন প্রত্যাশীও হতে দেখা যায়নি কাউকে। তবে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা সদর থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহশ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী বিমান শ্রমিক দলের সভাপতি তরুণ নেতা ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লাকে নিয়ে আশাবাদী জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের একটি বড় অংশ। এ ছাড়াও বরগুনা-১ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন তৎকালীন বরগুনা-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আলহাজ অধ্যাপক আবদুল মজিদ মল্লিক, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মতিয়ার রহমান তালুকদার, বরগুনা জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা, সাবেক সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সহসভাপতি লে. কর্নেল (অব.) আবদুল খালেক।
১৯৯৬ সালে তৎকালীন বরগুনা-৩ (আমতলী, তালতলী) আসনের এমপি নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট আলহাজ অধ্যাপক আবদুল মজিদ মল্লিক। এছাড়াও ঢাকা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরামের সভাপতি। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি। তিনি মানবকণ্ঠকে বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।মনোনয়ন চাইছেন সাবেক এমপি ও বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান তালুকদার। তিনি একসময় জাতীয় পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তৎকালীন বরগুনা-৩ আসনে। এরপর ২০০১ সালে বরগুনা তিন আসনে নির্বাচনে বিজয়ী হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি ছেড়ে দেয়ার পর ২০০২ সালে উপনির্বাচনে বিএনপি থেকে বিজয়ী হন মতিয়ার রহমান তালুকদার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনিও মনোনয়ন চাইছেন।ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা বরগুনার কৃতী সন্তান। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহশ্রম বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও জাতীয়তাবাদী বিমান শ্রমিক দলের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন তিনি।
বরগুনায় বিগত দিনে বিএনপি শক্ত কোনো প্রার্থী দিতে না পারলেও এ বছর এই তরুণ নেতাকে নিয়ে আশাবাদী দলের একটি বড় অংশ। মনোনয়ন লাভের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে মানবকণ্ঠকে তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বরগুনায় আওয়ামী লীগের একক নেতৃত্ব থাকায় নজিরবিহীন দুর্নীতি আর জোরজুলুমের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। বরগুনাবাসী এখন পরিবর্তন চায়। যে কোনো সময়ের চেয়ে বরগুনা তথা সারাদেশের বিএনপি এখন শক্তিশালী। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির জয় অনিবার্য। সেই সঙ্গে আমি নির্বাচিত হতে পারলে অবহেলিত বরগুনাবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে আমার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে কাজ করব।এ ছাড়াও মনোনয়ন চাইছেন বরগুনা জেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি মানবকণ্ঠকে বলেন, বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে বরগুনা জেলা বিএনপি এখন শক্তিশালী।
আমি জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আমাকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করতে বলেছেন। আমি দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি।বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রসঙ্গে বরগুনার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক দলের সভাপতি লে. কর্নেল (অব.) আব্দুল খালেক বলেন, দেশের টানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছি। সে সময়ও দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, বিশেষ করে বরগুনাবাসীর কল্যাণে আমি নিবেদিত ছিলাম। এরপর চাকরি থেকে অবসর নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমি বরগুনা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এসব বিবেচনায় দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় এবং বিজয়ী হই উন্নয়নে সম্ভব সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা বলেন, যারা কখনো কোনো দিন রাজনীতির মাঠে ছিলেন না, জেল-জুলুমের শিকার হননি এ রকম অনেক নেতাকর্মী এখন বিএনপিতে খবরদারি করছেন। দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি জয়লাভ করবেন বলে শতভাগ আশা ব্যক্ত করেন।
জাতীয় পার্টি: একসময় বরগুনায় জাতীয় পার্টির প্রভাব থাকলেও সময়ের ব্যবধানে তা ফিকে হয়ে গেছে। বরগুনায় পুনরায় জাতীয় পর্টিকে চাঙ্গা করতে কাজ করে যাচ্ছেন বরগুনা জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান মনসুর। জাতীয় পার্টির হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বরগুনা-১ আসনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা বিষয়ক স¤পাদক শাহজাহান মনসুর আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বরগুনায় তার নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির এই নেতা অংশ নিলে বড় দু’টি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারেন বলেই মনে করছেন রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিরা।আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে শাহজাহান মনসুর মানবকণ্ঠকে বলেন, হাজার হাজার গ্রাম বাংলার প্রিয় নেতা পল্লীবন্ধু হোসেইন মুহম্মদ এরশাদের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি চাইলে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে অবহেলিত বরগুনাবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করব।
মানবকণ্ঠ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন