পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন আগামী জুলাই মাসের মধ্যে করা হবে, নির্বাচন কমিশনের এমন ঘোষণার পর অনেকটাই নড়েচড়ে বসেছে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চারশর্তে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় তারা। এগুলো হচ্ছে ক) বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন বেগম খালেদা জিয়া, খ) নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক, গ) শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং ঘ) নির্দলীয় সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
বিএনপি নেতাদের মতে, নির্বাচনের পরিবেশ এবং পরিস্থিতি এখন দেশে নেই। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাকে মিথ্যা মামলায় জেলে রাখা হয়েছে। তার জামিন নিয়ে লুকোচুরি করা হচ্ছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসিন দল ও তাদের প্রধান সরকারি খরচে সারাদেশে নির্বাচনী জনসভা করছে। কিন্তু বিএনপিকে সভা সমাবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই রকম একটা পরিবেশের মধ্যে নির্বাচন কমিশন জুলাই মাসে দেশে যে পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আয়োজন করছে তাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না হলে নিবার্চনে অংশ নেবে কিনা তা বিএনপিকে ভাবতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হলে আসন্ন ৫ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা ভেবে দেখবে বিএনপি। এই নির্বাচনের অর্থ হচ্ছে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে আরো পোক্ত করা। সুতরাং জনগণের এই ধরনের নির্বাচনের প্রতি খুব একটা সমর্থন থাকবে না। আমরাও এই নির্বাচনগুলোতে অংশ গ্রহণ করবো কিনা এটা আমাদেরকে ভেবে দেখতে হবে। বর্তমান যে পরিবেশ পরিস্থিতি আছে ও অবস্থা বিরাজ করছে তাতে বর্তমানে নির্বাচন করার মতো কোনো পরিবেশ নেই।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনারাই বলুন, দেশে কি নির্বাচন করার মত কোনো পরিবেশ আছে। যেখানে দেশে জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসনকে মির্থ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। তার জামিন নিয়ে ছিনিমিনি লুকোচুরি করা হচ্ছে, তার নামে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে, সভা সমাবেশের নুন্যতম কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, সর্বত্রই আতঙ্ক, নেতাদের ধরে নিয়ে রিমান্ডের নামে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে।
আর অন্যদিকে আরেকজন সারাদেশে সরকারের খরচে নির্বাচনী সমাবেশ করে বেড়াচ্ছে। আর বিরোধী দলকে জেলে রাখা হচ্ছে। এই অবস্থায় আর যাইহোক নির্বাচন করা যায় না। নির্বাচনের জন্য তো সমান সুযোগ থাকতে হবে সমাতল ভ’মি থাকতে হবে। তা যতক্ষন নিশ্চিত হচ্ছে না ততক্ষন পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা তা তো ভেবে দেখতেই হবে।
তিনি বলেন, এই সরকারের তৈরি করা নির্বাচন কমিশন তাদের লক্ষ্য একটাই। তা হচ্ছে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় বসানো এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করা। এই নির্বাচন কমিশন যে সরকারের ইচ্ছাগুলোর প্রতিফলন ঘটাবে। তারা বলেন দেশে এখন গণতন্ত্রের সংকট চলছে এটাতে আমরা কোনো অবাক হচ্ছি না।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন