সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আজ ৮৯তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে এরশাদ রাত ১২টা ১ মিনিটে বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় কেক কাটেন।
এ সময় দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ দলের শীর্ষ নেতারা তাকে অভিনন্দন জানান।
পরে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিশষ্টি শিল্পপতি নুরুল ইসলাম, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ ছাড়া অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক সেনাপ্রধান এবং চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ২০ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। সাবেক এ রাষ্ট্রপতি ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তনের পর ১৯৭৩ সালে তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল নিয়োগ করা হয়। ভারতে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট তিনি মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে তাকে সেনাবাহিনী প্রধান করা হয়।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৩ সালে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে তার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
তিনি দেশে উপজেলা পদ্ধতি চালু করেন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা হস্তান্তরের পর গ্রেফতার হয়ে টানা ছয় বছর কারারুদ্ধ থাকেন। তিনি বর্তমান দশম জাতীয় সংসদেরও একজন সদস্য। দেশব্যাপী উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তনসহ নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য মুখ্যত এরশাদ আমল (১৯৮২-৯০) স্মরণীয় হয়ে আছে।
এরশাদের আমলে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধির হার ছিল অত্যন্ত লক্ষণীয়। জনগণের কাছ থেকে কর (সারচার্জ) আদায় করে আর বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ দাতাদের কাছ থেকে তহবিল জোগাড়ের লক্ষ্যে এরশাদই প্রথম যমুনা সেতু নির্মাণের বাস্তব পদক্ষেপ নেন। তার অন্যান্য সৃজনশীল প্রয়াসের মধ্যে ছিল পথশিশুদের প্রয়োজন মেটাতে 'পথকলি ট্রাস্ট' গঠন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন