চট্টগ্রামের জনসভায় নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্যারাসিটামল দিয়ে জ্বর সারানোর মতোই মন্তব্য করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘চট্টগ্রামবাসী আশা করেছিল কালুরঘাট তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু নির্মাণ ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, আনোয়ারা, বাঁশখালীসহ চট্টগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন ঘোষণা। চট্টগ্রামের গণমানুষের দাবি জলাবদ্ধতা নিরসনের মহাপরিকল্পনার ঘোষণা। কিন্তু এর কোনটিই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে না আসাতে চট্টগ্রামের আপামর জনসাধারণ হতাশ হয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) বিকেলে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরে শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন কিন্তু চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ এই সরকারের কাছ থেকে চট্টগ্রামবাসী উপহার পেয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের জনসভায় মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা প্রথা নিয়ে দেয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ব্যক্তিদেরকে রাতারাতি মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিয়েছে এই অবৈধ সরকার। আওয়ামী লীগের সার্টিফিকেটধারী মুক্তিযোদ্ধাদের এদেশের জনগণ মানে না। এই সব কোটা প্রথার মাধ্যমে দেশকে মেধাশূন্য জাতিতে পরিণত করবে। নকল করার সুযোগ দিয়ে শিক্ষাঙ্গনকে ধ্বংস করে মেরুদণ্ডহীন জাতি করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার।’
বিএনপির সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। বেগম জিয়ার সাথে নির্বাচন করার কোনো প্রার্থী আওয়ামী লীগে নেই বলে তাঁকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে বন্দি করে রেখে আওয়ামী লীগ যেভাবে সভা-সমাবেশে নৌকায় ভোট চাচ্ছে এটা নজিরবিহীন। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা হামলা করে যে অত্যাচার করছে তাতে এ দেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে ধিক্কার জানাবে। এদেশের জনগণ তাদের প্রিয় নেত্রীকে অচিরেই জালিমের বন্দি কারাগার থেকে মুক্ত করে আনবে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সহ-সভাপতি সৈয়দ আজম উদ্দিন, নাজিমুর রহমান, সুবুক্তগীন মক্কী, হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, যুগ্ম-সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, এসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মন্নান, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, মো. আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সামশুল হক, গাজী সিরাজউল্লাহ প্রমুখ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন