বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে না পারলে শেখ হাসিনা আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে জীবিত মুক্তি দিবেন না। জেলগেটে তার লাশ ফেরত নিতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও এম ইলিয়াস আলীর সন্ধ্যান দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি একথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘আমি জেল থেকে বের হওয়ার পর অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন কম কথা বলার। কিন্তু কি করব, না বললে তো মনে কথা জমা হয়ে যায়। সে কারণেই বলছি- শেখ হাসিনার অধীনে যদি আগামী নির্বাচনে যাই, তাহলে ২০১৪ সালে কেন গেলাম না? বিগত বছরে যে এত নির্যাতন হলো, নেতাকর্মী ও জনগণের কাছে এখান কি জবাব দিবেন?’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে সব দলের অংশ গ্রহণে। বিএনপিও ওই নির্বাচনে আসবে এ কথা সকাল-বিকাল বলে চলেছেন ওবায়দুল কাদের। আমি জেলে থাকা অবস্থায় শুনেছি, এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে একটি গ্রুপ আমাকে ম্যানেজ করার জন্য জেলেও যাবেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সেই ঐক্য যেন মান্নান ভূইয়ার মত না হয়। খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানকে বের করে দিয়ে নয়। আমরা আগামী দিনে নির্বাচনে যাব কি যাব না এটা নিয়ে নানা শর্ত আলোচনায় আসতে পারে। কিন্তু, একটাই শর্ত, নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার অধীনে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে, আমাদের নেত্রীর মুক্তির দাবিকে পাশ কাটিয়ে। আমরা যদি নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা আদায় করতে পারি, তাহলে আমাদের নেত্রীও মুক্তি পাবেন। তখন খালেদা জিয়াকে নিয়েই নির্বাচনে যাব, না তাকে ছাড়া যাব, সেই নির্দেশনাও তিনি আমাদের দিবেন।’
প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এনাম আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জীবন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপি নেত্রী শাম্মি আক্তার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন