কলেজ অধ্যক্ষ ও ব্যবসায়ীকে চড়-থাপ্পড় এবং মারধরের ঘটনায় পদ হারানো চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির পক্ষে মানববন্ধন করেছে শতাধিক শিক্ষার্থী। এ সময় তারা রনির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অস্ত্র ও চাঁদাবাজির মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি ইউনিএইড কোচিংয়ের মালিক রাশেদ মিয়ার শাস্তি দাবি করেন। গতকাল সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এ কর্মসূচির কারণে জামালখান সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও পথচারীরা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হোসেন মনসুর, নগর ছাত্রলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম জুয়েল, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আহমদুল করিম বক্তব্য রাখেন। ‘সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদ’-এর ব্যানারে কর্মসূচির আয়োজন করা হলেও অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বক্তারা বলেন, সদ্য প্রয়াত নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আদর্শে রাজনীতি করছেন নুরুল আজিম রনি। তার সৃজনশীল কর্মকা- প্রশংসিত হওয়ায় বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার ষড়যন্ত্র করছে। রনি শিক্ষা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। অথচ তার বিরুদ্ধেই চাঁদাবাজির মামলা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও করেন বক্তারা।
সম্প্রতি মারধরের অভিযোগ এনে নগর ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনির বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করেন চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ। এর কয়েকদিন পরেই চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের মালিক রাশেদকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হলে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইতে বাধ্য হন রনি। গত ১৯ এপ্রিল রাতে রনির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
গতকাল বিকালে মানববন্ধন চলাকালে রনির অনুসারীরা এক পর্যায়ে জামাল খান সড়কে নেমে আসে। তারা সড়কের এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় সেখানে পুলিশ মোতায়েন ছিল। তবে তাদের কোনো ধরনের ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন