নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে যুবলীগ নেতা মো. হেলালের (২৭) হাত-পা ভেঙে দিয়েছে নিজ দলীয় কর্মীরা। এ সময় তার স্ত্রীকেও পিটিয়েছে তারা।
বুধবার বিকালে গাংচিল কিল্লার বাজার শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ভাঙচুর করার এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মো. হেলাল উপজেলার গাংচিল গ্রামের মৃত ছেরাজল হকের ছেলে। তিনি চরএলাহী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি ও কিল্লা বাজার শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সভাপতি এবং ওই বাজারের ব্যবসায়ী।
বুধবার বিকালে গাংচিল কিল্লার বাজার শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ভাঙচুর করার পর হেলালকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। রাতে কিল্লা বাজারে হেলালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা ভাঙচুর ও দোকানের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। তিনি বর্তমানে নোয়াখালীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
গাংচিল এলাকার কিল্লা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বুধবার বিকালে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদে হেলাল ঘুমাচ্ছিল। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের করিম, আবদুর রহিম, শহীদ সর্দার, তারেকের নেতৃত্বে কয়েকজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী হেলালের ওপর হামলা চালায়।
সংবাদ পেয়ে হেলালের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা হেলাল ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
যুবলীগ নেতা মোজাম্মেল মেম্বার যুগান্তরকে বলেন, চরএলাহি ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রেজ্জাকের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুর কাদেরের নির্দেশে বুসরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অফিসে আমাদের বিরোধ মিটিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিল্লা বাজারের একটি খাস ভিটার দখল নিয়ে হেলালের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রেজ্জাক বলেন, পূর্ব ঘটনার জের ধরে মোজাম্মেল মেম্বারের লোকজন যুবলীগ নেতা হেলালের ওপর হামলা করেছে।
এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা হেলালের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ওই এলাকার যুবলীগের সভাপতি মোজাম্মেল মেম্বারকে প্রধান আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর এসআই তাজুল ইসলামকে পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন