দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স, তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশের সব মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার তৈরি করছে। ইতোমধ্যে দল থেকে দুর্নীতিবাজদের খুঁজে বের করার কাজ শুরু করেছে শীর্ষ পর্যায়।
আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্র আরো জানিয়েছে, দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ১০ বছরে সরকারের অর্জন অনেক বেশি। বিগত দুটি নির্বাচনে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নের হার অনেক বেশি। এখন চ্যালেঞ্জ হলো দুর্নীতি বন্ধ করা। দলের মনোনয়ন বোর্ড সভায় সভাপতি বলেছেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতি বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এখন বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি ও ঘুষ। কাজেই একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি হবে দুর্নীতি নির্মূল। এক্ষেত্রে দল আগামী নির্বাচনে দুর্নীতির দায়ে দুষ্ট কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি গত কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে নেতাদের বলেছেন, দলীয় ইমেজ ক্ষুণœ করেছেন এমন কাউকে এবার মনোনয়ন দেওয়া হবে না।
একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেছেন, দুর্নীতিবাজ এবং মামলা-হামলায় জড়িতদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে শেখ হাসিনা। ইমেজ ক্ষুণœকারীদের দলে রাখা যাবে না। আগামী নির্বাচনে তারাই মনোনয়ন পাবেন যাদের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক রয়েছে। ১৪ দলের মুখপাত্র, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দলে কোনো দুর্নীতিবাজের ঠাঁই হবে না। দিনবদলের সনদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। প্রতিশ্রুতির চেয়ে অর্জন অনেক ক্ষেত্রে বেশি। এবার দুর্নীতি নির্মূল করা হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীতে দেশ সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত হবে। তিনি জানান, বিতর্কিত এমন অনেককেই প্রধানমন্ত্রী ডেকে সতর্ক করেছেন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেছেন, ইশতেহার তৈরির কাজ করা হচ্ছে। মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশের দিকে যেতে হলে দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে এবং দেশের তরুণ সমাজকে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে। সেই আলোকেই হবে ইশতেহার।
স্থায়ী কমিটির সদস্য কর্নেল (অব) ফারুক খান বলেছেন, ২০১৪ সালে আমাদের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ছিলÑ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে জিরো টলারেন্স নীতি। এটি অর্জিত হয়েছে। ২০০৮ সালের ইশতেহারে আমরা অঙ্গীকার করেছিলাম কীভাবে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এই ফসল আমাদের ঘরে উঠেছে। এবার উন্নত দেশের দিকে যেতে হবে। তাই ইশতেহার হবেÑ দেশকে শিল্পায়িত করার মধ্যে দিয়ে জনগণের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, কৃষিতে আরো সাফল্য এবং সময়োপযোগী শিক্ষার সুযোগ তৈরি।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন