ডেস্ক রিপোর্ট
গোটা দেশকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের আমোদে ভাসিয়ে রেখে ভারতের সাথে স্পর্শকাতর প্রতিরক্ষা চুক্তি সাক্ষর করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এই চুক্তির মুল কথা হচ্ছে বাংলাদেশ অস্ত্র কিনতে গেলে ভারতের অনুমোদন নিতে হবে।
খবরটি প্রকাশ করেছে ঢাকাস্থ ডেইলি স্টার ।
গতকাল প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋন চুক্তি করেছে সরকার। ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট নামের এই চুক্তিটি হলো ভারতের গত বছরের দেয়া প্রতিশ্রুতির একটি অংশ। এছাড়াও একই দিনে দুই দেশের নৌ বাহিনী নিজেদের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারকও সাক্ষর করে।
বাংলাদেশের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারকে সাক্ষর করেন সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেনেন্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান। আর ভারতের পক্ষে চুক্তিতে সাক্ষর করেন ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব সঞ্জয় মৈত্র। জানা গেছে, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীর দক্ষিন ব্লকে গতকাল এই চুক্তিটি সম্পাদিত হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ তার প্রতিরক্ষা খাতের প্রয়োজনীয় হার্ডওয়ারগুলো সনাক্ত করবে আর ভারত বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত যুদ্ধাস্ত্রগুলো পরীক্ষা করার সুযোগ পাবে। এভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের প্রতিরক্ষা খাত আরও শক্তিশালী হবে বলে চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
ভারত বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক যে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে, তার কিছু অংশ দিয়ে বাংলাদেশ ভারত ছাড়াও অন্য দেশ থেকে অস্ত্র কিনতে পারবে, তবে তার জন্য ভারতের অনুমোদন নিতে হবে। তাছাড়া অবশিষ্ট অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশকে শুধুমাত্র ভারত থেকেই অস্ত্র ক্রয় করতে হবে।
গত বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভারত সফর করছিলেন তখনই প্রথম ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি সাক্ষর হয়েছিল। তার আওতায় এবারই আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি করলো বাংলাদেশ।
এছাড়া গতকালের এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধিনস্ত খুলনা শিপইয়ার্ড এবং ভারতের নৌবাহিনী দুটো সমঝোতা স্মারক সাক্ষর করেছে যার আওতায় উভয় দেশ একসাথে কিছু প্রকল্প আগামী দিনে বাস্তবায়ন করতে পারবে। তবে সেগুলো ঠিক কি ধরনের প্রকল্প তা এখনো নিশ্চিতভাবে কোন সূত্র থেকে জানা যায়নি।
এই সব চুক্তির বাইরে ভারত ও বাংলাদেশের মিলিটারি স্কুলগুলোতে ছাত্র বিনিময় করার জন্য একটি পৃথক চুক্তি সাক্ষর হয়েছে গতকাল। এর বাইরে উভয় দেশের সেনা কর্মকর্তারা ভবিষ্যতে এই দুই দেশের মধ্যকার সামরিক সম্পর্ক কিভাবে আরো শক্তিশালী করা যায় তা নিয়েও আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরই ভারতের সাথে তারা সম্পর্ক উদ্বেগজনকভাবে উষ্ণ করার চেষ্টা করে। এই দুই দেশের মধ্যে প্রথম প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে গত বছরের এপ্রিলে। এর আগে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সামরিক খাতে কোন লেনদেন হতোনা।
চুক্তি সাক্ষর ছাড়াও ভারত সফররত বাংলাদেশের সেনা কর্মকর্তারা এবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সিথারামান, বিদেশ সচিব ভিজয় কেশভ গোখলে এবং ভারতের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানদের সাথে সাক্ষাত করেছেন।
পাঠক মন্তব্য
দেশ বিক্রয় পূর্ণ হলো!!
Very bad deed it. It is not acceptable deed. Very Very Sad.
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন