জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া ও দুদকের করা আপিল আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
এরপরও অন্য মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানোয় আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। তবে তাকে কতগুলো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
আপিল বিভাগের আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, বর্তমানে তিনটি মামলা আছে। দুটি কুমিল্লায় ও একটি নড়াইলে। এসব মামলায় তার জামিন নিতে হবে। সরকার যদি অশুভ প্রচেষ্টা না চালায় তাহলে তিনি এসব মামলায় জামিন নিয়ে দ্রুতই ছাড়া পাবেন।
কয়টি মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তা জানতে চাইলে তার আরেক আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এখন পর্যন্ত সাতটি মামলা আছে। তিনটি কুমিল্লায়, দুটো ঢাকায় ও একটি নড়াইলে।
সাত মামলার কথা বলা হলেও মওদুদ আহমদের হিসাব অনুযায়ী মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ছয়টি।
এসব মামলায় জামিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু আপিল বিভাগ এই মামলায় তার জামিন বহাল রেখেছে এখন নিম্ন আদালতে জামিন পেতে আমাদের খুব বেশি অসুবিধা হবে না। অতি দ্রুত এই মামলাগুলো জামিন পাওয়ার পর বেগম জিয়া আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আপিল বিভাগের রায়ের পর বলেছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া জামিন পেলেও অন্য মামলায় গ্রেফতার থাকায় আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না। খালেদা জিয়াকে কুমিল্লায় তিন, ঢাকায় দুই ও নড়াইলের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
কুমিল্লার মামলাগুলো কি, জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে, একটি ৩০২ ধারা (হত্যা মামলা) ও অপরটি বিষ্ফোরক আইনে করা হয়েছে। বাকি তিনটি মামলাই মানহানির।
সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, এই ছয়টি মামলায় নিম্ন আদালতে আমরা জামিন পাইনি। হাইকোর্টে জামিনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনি বলেন, বড় পুকুরিয়া, গ্যাটকো, নাইকো, জিয়া চ্যারিটেবল এই চারটি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রডাকশন ওয়ারেন্ট রয়েছে। এগুলো প্রত্যাহারের আবেদন করা হবে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন