খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ‘নতুন কায়দায়’ ভোট ডাকাতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ওপর দিয়ে সুন্দর ও সুষ্ঠু হচ্ছে। কিন্তু সুকৌশলে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে।
খুলনায় আলোচিত নির্বাচনের দুই দিন পর বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির যৌথসভা শেষে বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপি নেতা।
মঙ্গলবারের ভোটে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু প্রায় ৬৮ হাজার ভোটে হেরেছেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেকের কাছে।
তবে মঞ্জুর দাবি, তাদে কারচুপি করে হারানো হয়েছে। তিনি ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০৫টিতে নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তবে ভোট চলাকালে নির্বাচন কমিশন জাল ভোটের ঘটনায় মোট ছয়টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করেছিল। শেষ পর্যন্ত আর তিনটিতে ভোট চালু হয়নি। এর বাইরে কোথাও গোলযোগ হয়নি বলে দাবি করেছে কমিশন।
বুধবার বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলন করে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেন। পাশাপাশি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার পদত্যাগও দাবি করেন তিনি।
পরদিন বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান সরকার এখন নতুন কায়দায়, নতুন রূপে ভোট ডাকাতি শুরু করেছে।’
‘এখন সবাই দেখে সব কিছু সুন্দর ও সুষ্ঠু হচ্ছে। কিন্তু সুকৌশলে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে নিয়ে যাচ্ছে।’
এই ভোটের ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগও দাবি করেন ফখরুল। বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার যোগ্য না। তারা একটা সিটি করপোরেশন নির্বাচন করতে পারে ন। তারা কী করে সুষ্ঠুভাবে জাতীয় নির্বাচন করবে? আমরা কমিশনের পদত্যাগসহ ইসির পুনর্গঠন চাই।’
আওয়ামী ভিন্নমতকে পদদলিত করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন