খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে আরও জোরদার করতে ইফতার অনুষ্ঠানে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। ফলে নিরপেক্ষ সরকারের আন্দোলনেও গতি আসবে বলে মনে করছে দলটি। বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে আর কয়েক মাস বাকি। প্রতিবছরের মতো এবারও বিএনপির উদ্যোগে ইফতার অনুষ্ঠান হচ্ছে। প্রথম রমজানে এতিম আলেম, দ্বিতীয় রমজানে রাজনীতিবিদ এবং গতকাল রবিবার কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই মধ্যে রমজানে অর্থাৎ ৩০ মে দলের প্রতিষ্ঠা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতেও বিএনপির সিনিয়র নেতারা মহানগরের বিভিন্ন স্পটে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করবেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপিও ইফতার অনুষ্ঠান করবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার।
জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আমাদের সময়কে বলেন, আমাদের আবেগ আজ কারাবন্দি। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে
by Taboola Sponsored Links You May Like
Play this Game for 1 Minute and see why everyone is addicted
Delta Wars
5 Books That Will Change Your Life
Blinkist
ছাড়া এবার নেতাকর্মীরা ইফতার করছে। মাকে ছাড়া ইফতার করলে সন্তানের যেমন অনুভূতি হয়, নেত্রীকে ছাড়া ইফতার করতে তাদের তেমনই অনুভূতি হচ্ছে। নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়া ঘরে ফিরবে না, নির্বাচনেও যাবে না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আমাদের সময়কে বলেন, এবারের ইফতারের মাধ্যমে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আরও জোরালো করা হবে। জেলা, মহানগর, উপজেলা, ইউনিয়ন ইফতার অনুষ্ঠান করবে। এবং যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করতে চায়, তারা সবাই এবার এলাকায় যাবেন। এক কথায় এ ইফতার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নেত্রীর মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জোরালো হবে।
বিএনপি নেতারা বলেন, শুধু রাজধানীতেই নয়, রাজধানীর বাইরে সংসদীয় এলাকাগুলোয় মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ বিভিন্ন ইউনিট ইফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এসব ইফতারে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকার দাবির পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখছেন সিনিয়র নেতারা। এ দাবির পক্ষে সমর্থন আদায়ে জোরালো ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। দলটির যেসব নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক তাদের সবাই কমবেশি এলাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিশেষ করে রমজানজুড়ে ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার একটি বার্তা তারা এলাকার দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে দিতে চান।
প্রথম রমজানে ঢাকার বাইরে কুমিল্লার লাখসামে স্থানীয় বিএনপির এক ইফতারে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এখানে বিএনপির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম নির্বাচন করতে আগ্রহী। সাবেক মন্ত্রী- এমপির বাইরে নতুন করে অনেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপিতে। তাদের মধ্যে বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু নাটোর-১, মুনির হোসেন পটুয়াখালী-২, প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম সিরাজগঞ্জ-৫, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বরিশাল-১, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল মতিন নওগাঁ-৪ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তারা সবাই নিজ নিজ এলাকায় ইফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে আমাদের সময়কে জানিয়েছেন। বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি নেত্রকোনার দুর্গাপুর-কলমাকান্দায় থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় নানা ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নেবেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন