প্রথম রোজা অর্থাৎ গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচটি ইমাম ও সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ইফতার করেছেন জাতীয় পার্টির আমন্ত্রণে। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইফতার করেন আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডি কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে। শুধু ঢাকায় নয় ঢাকার বাইরেও চলছে দলবদ্ধ রাজনৈতিক ইফতার। একই দিন দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
দলটির নেতারা জানিয়েছেন, এভাবে রমজানের প্রতিদিনই বিভিন্ন ইফতারে অংশ নেবেন তারা। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইফতার পার্টির মাধ্যমে ভোট প্রস্তুতিকে জোরালো করতে চায় আওয়ামী লীগ। এরই অংশ হিসেবে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরব থাকবেন দলের নেতারা।
প্রতিবছরই কর্মীদের
সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও দল গোছানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে রমজানে স্থানীয়ভাবে ইফতারের আয়োজন করা হয়। যেহেতু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এটিই শেষ রমজান, তাই বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার স্থানীয় পর্যায়ে ইফতারের আয়োজন কিছুটা বেশি হবে। আওয়ামী লীগের নেতা ও সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও ইফতারের আয়োজন করছেন। সেখানে নিজেদের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নের চিত্রও তুলে ধরছেন ক্ষমতাসীনরা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, ‘প্রতি রমজানেই দলীয় নেতাকর্মীদের এক জায়গায় নিয়ে আসা, শুভেচ্ছা বিনিময় ও সংগঠন গোছানোর জন্য ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। বরং এবারের আয়োজন আরও জোরালো। আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এটিকে কেন্দ্র করে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে টানতে ঘন ঘন এলাকায় যাবেন। নানা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।’
দলীয় সূত্র মতে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ইফতার আয়োজন না করলেও দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে ছয়দিন ইফতার কর্মসূচি রেখেছেন। এর মধ্যে ২১ মে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, এতিম, প্রতিবন্ধী শিশু ও আলেমদের সঙ্গে; ২৩ মে বিচারপতি, কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তা (সামরিক-বেসামরিক); ২৮ মে পেশাজীবী; ২ জুন আত্মীয়-পরিজন, ৪ জুন রাজনৈতিক নেতা এবং ৬ জুন আইনজীবীদের সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধানমন্ত্রী। আর এসব কর্মসূচিতে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও উপস্থিত থাকবেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মাসব্যাপী ইফতারের আয়োজন থাকবে মহানগর আওয়ামী লীগ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোও ইফতার কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন