বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদি বলেছেন, দেশে স্বাভাবিকভাবে সরকার পরিবর্তনের রাস্তাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এখনো বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনকে প্রধান বিষয় মনে করে। কিন্তু সেই পদ্ধতি বন্ধ হয়ে গেলে সেই পথকে ফিরিয়ে আনতে গণ-অভ্যুত্থানের পথ বেছে নেবে। এটা কোনো বিপ্লবি পথ না এটা সাংবিধানিক পথ নির্বাচন এবং গণঅভ্যুত্থান।
আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং তার ব্যক্তিগত সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এক মুক্ত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও নামের একটি সংগঠন এই সভার আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এবং গোলাম সরোয়ারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন-বিএনপির আরেক ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন, ছাত্রদলের সহ-সাধারন সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা,দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারি প্রমুখ।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং গণতন্ত্রকে যারা বিশ্বাস করে দেশে এবং বিদেশে তাদের বিশ্বাস হচ্ছে নির্বাচনের মাধ্যমে বিপ্লব। সশস্ত্র অথবা চরমপন্থার মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনকে তারা বিশ্বাস করে না। বিএনপি যে পন্থা বিশ্বাস করে তা হলো নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন কিন্তু সেই পথটি এখন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।খুলনায় সর্বশেষ যে নির্বাচনটি হয়েছে তা প্রমাণ করে যে সরকার নির্বাচন কমিশন পুলিশ-আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনী সব একাকার হয়ে গেছে। তারা সবাই একে অপরের পিঠ চুলকাচ্ছে। এক পথে তারা চলাফেরা করেছে।
তিনি বলেন, সংবিধানের ১২৫ অনুচ্ছেদেও বলা আছে তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন সমস্ত ক্ষমতা বহন করে। কিন্তু খুলনায় তারা তো সেভাবে চলেই নাই বরং পুলিশ-প্রশাসন এবং সরকার তাদেরকে যেভাবে চলতে বলেছে তারা সেভাবে চলেছে এবং সর্বশেষ তারা বল বলেছে নির্বাচন ভালো হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কি জেলে মৃত্যুবরণ করবেন? নেতাকর্মীদের প্রতি এমন রেখে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, এই প্রশ্ন যারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে গণতন্ত্রকে মানে তাদেরকে একটু ভেবে দেখতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, এভাবে হবে না নিজের সাথে প্রতারণা করে আন্দোলন হয় না। একজন আরেকজনের দায়ে চাপাবেন এভাবে আন্দোলন হয় না। যদি আন্দোলন করতে হয় কৃষকের কাছে যেতে হবে ছাত্রদের কাছে যেতে হবে জনগণের কাছে যেতে হবে। এই সরকার সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন একটি সরকার সেটা না হলে খুলনার কারচুপির নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী সমর্থন করতে পারতেন না। দুর্ভাগ্য জাতির যে এ রকম একটি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আমাদেরকে চলতে হচ্ছে। তাই আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হই নতুন করে এই ৬ মাস কাজে লাগাই আগামী নতুন বছরে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বানাই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন