বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ভোটারবিহীন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুলনার ভোটারদের সাথে শ্রেষ্ঠ তামাশা। অবৈধ ক্ষমতার দৌরাত্ম্যে ভোটারদের অধিকার বঞ্চিত করে এখন তাদের প্রধানমন্ত্রী তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছেন।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে গতকাল গাজীপুরের টঙ্গীতে এক এমপির বাসায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তফসিল ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট এলাকায় মন্ত্রী ও এমপির বৈঠক নির্বাচনী আচরণবিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর ওই বৈঠক নির্বাচনী আচরণবিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এ ঘটনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিয়ে ক্ষমতাসীন মহলের এক গভীর নীলনকশার বীভৎস আভাস ফুটে উঠছে।
সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের ফলেই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খুলনার মানুষের সমর্থন মিলেছে-প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন রিজভী।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ভোটারবিহীন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুলনার ভোটারদের সাথে শ্রেষ্ঠ তামাশা। অবৈধ ক্ষমতার দৌরাত্ম্যে ভোটারদের অধিকার বঞ্চিত করে এখন তাদের প্রধানমন্ত্রী তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছেন। কারণ শেখ হাসিনার নতুন মডেলের চমৎকার খুলনা সিটির অর্ধেকেরও কম ভোটার ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি।
তিনি বলেন, কেন্দ্রে গিয়েও ভোট দিতে পারেনি হাজার হাজার ভোটার। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তিনি নিজেই প্রমাণ করলেন, তাঁর অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা হবে বিরোধী দলগুলোর জন্য আত্মঘাতী।
রিজভী বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলতে চাই, নির্বাচন কমিশনে আপনাদের পছন্দের লোকজনদের ঢুকিয়ে আপনারা সুষ্ঠু ভোট যাতে না হয়, সে জন্য হাত-পা বেঁধে দিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব বলেন, ইসি খুলনায় সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে মাত্র। ইসি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বর্ণালি বাহিনী নন। বরং এখন তারা খাঁচায় পোষা তোতা পাখি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন ও নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন