বিএনপি নেতারা ইফতার নিয়ে রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (২১ মে) সন্ধায় রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এক ইফতার পার্টি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইফতারের সময় রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেন না, এমন কি আমিও রাখি না।”
“কিন্তু ফখরুল ইসলাম আলমগীররা ইফতার নিয়েও রাজনীতি করে। ইফতারের সময় তারা রাজনৈতিক বিদ্বেশ ছড়ায়। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা দেশের মানুষের কাছে তো নালিশ করেই ইফতার সামনে রেখে বিদেশিদের কাছেও নালিশ করে।”
ইফতার সামনে রেখে রাজনৈতিক বক্তব্য বিএনপির জন্য রাজনৈতিক দেওলিয়াপনা দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এটা তাদের রাজনৈতিক দেওলিয়াপনা ছাড়া আর কিছু না। রাজনীতিতে তারা এত নিচে নেমে গেছে যে, ইফতার পার্টিতে এসে রাজনীতি করছে এবং বিদেশিদের কাছে অশ্রাব্য ভাষায় নালিশ করছে। এবং যেটা রাজনৈতিক ভাষা নয় সেটাও বলছে। আমরা সেটা করি না, করবো না।”
রোববার তৃতীয় রোজায় ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে এক ইফতার মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইফতারে কূটনীতিকদের স্বাগত জানান।
ইফতারের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত যে, আজকে বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি আপনারা উপলব্ধি করছেন। আজ বেগম জিয়া পরিত্যক্ত জেলখানার চার দেওয়ালে মধ্যে কঠিন সময় অতিক্রান্ত করছেন। তাকে একটি মিথ্যা মামলায় বিনা দোষে কারাবন্দি করা হয়েছে, তিনি সুবিচার থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন।”
এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তিনি ওখানে যে কথা বলেছেন, আমরাও জেলখানায় ছিলাম। বেগম জিয়া যেই জায়গাটায় আছেন, সেটা আমরা দেখেছি। সেখানে যেভাবে রুমটাকে সাজানো হয়েছে।একদম ফাস্টক্লাস জায়গায় আছেন, যেখানে আমরাও ছিলাম না।”
“এখন তারা বিরুধী দলে আছেন, বিএনপির নেতার এ নিয়ে বলবেনই। জেল কোর্ট অনুযায়ী বেগম জিয়া যা যা প্রাপ্য সব কিছু করা হচ্ছে এবং যদি আরো কিছু করার দরকার হয় সেটাও করা হবে। চিকিৎসার জন্য আরো কিছু করার দরকার হলে সরকার করবে, তার থাকা খাওয়ার জন্য সরকার করেছে।”
“দেখুন কারাগারে ব্যক্তিগত গৃহ পরিচালিকা রাখার কোন সুযোগ নেই। সেটাও এলাউ করা হয়েছে। তার জন্য ব্যক্তিগত চিকিৎসক রাখার কোন নিয়ম নেই, এই নিয়মও বেগম জিয়ার জন্য ভাঙ্গা হয়েছে, কারণ তিনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওনাকে আমরা অপমান করতে চাই না। জেলে দিয়েছে আদালত মুক্তি দিতে পারে আদালত। কিন্তু মানুষ হিসেবে মানবিকতা দিক দিয়ে তারও বয়স হয়েছে তাকে যথাযত চিকিৎসা দেওয়া তার সঙ্গে মানবিক আচরণ করা সরকারের কোন গাফলতি নেই।”
সরকারের অধিনে নির্বাচন করা বিএনপির জন্য আত্মঘাতী হবে তাই বিএনপি এই সরকারে অধিনে নির্বাচনে যাবে না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “খুব ভালো কথা, তারা গতবার নির্বাচনে যায় নি, নির্বাচনের বৈধতার কোন সংকট হয় নি। এবারও হবে না।”
“আর আত্মঘাতীর বিষয়টা তাদের মূল্যায়নের ব্যপার, তাদের জন্য আত্মঘাতী কি না। তবে তাদের জন্য নির্বাচন আটকে থাকবে না। নির্বাচন নির্বাচনের পথে চলবে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে সংবিধান অব্যহত থাকবে”
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন