ছয়টি সংস্থা পৃথকভাবে তাদের মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা জমা দিয়েছে। ছয় তালিকায় থাকা মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজারে। এসব তালিকার মধ্যে অনেকের নামই হয়তো প্রতিটি সংস্থার তালিকাতেই রয়েছে। এসব তালিকা থেকে একটি সমন্বিত তালিকা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে একটি গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় সারা দেশের ২২টি জেলার ৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪৭৮ জন ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে। এ তালিকায় রয়েছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্র-শিক্ষক-চিকিৎসক, কর্মচারী, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতা এবং পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি) সারা দেশে ১৪১ জন এবং র্যাব ২০০ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে মন্ত্রণালয় সূত্র। অন্যদিকে ঘোষণা দিয়ে এরই মধ্যে মাদক নির্মূলে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে র্যাব-পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। ৪ মে থেকে শুরু হওয়া গতকাল পর্যন্ত বন্দুকযুদ্ধে র্যাবের হাতে ১৭ এবং পুলিশের হাতে ১৪ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান বলেন, ‘মাদক নির্মূলে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা চাই, ঘৃণ্য এ পথ থেকে এর ব্যবসায়ী এবং সেবীরা সরে আসবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরই র্যাব সদস্যরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে র্যাবের পক্ষ থেকে সারা দেশে ১০ লাখ সচেতনতামূলক পোস্টার-লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।’ বিশেষ অভিযানের মাত্রা আরও তীব্র হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জানা গেছে, একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাদক বাণিজ্য চালানো দুই সহস্রাধিক ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে। এর মধ্যে ৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদক কারবারে জড়িত ৪৭৮ জনের তালিকা করেছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। এই তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও গিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৯টি কলেজ রয়েছে। তালিকায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদক ব্যবসায়ীদের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা করছেন এমন ২১ জন পুলিশ সদস্যের নাম উঠে এসেছে। তালিকায় ৯ জন শিক্ষকের নামও রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, তালিকায় থাকা ব্যবসায়ীরা শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী, আশপাশের দোকানদার, এমনকি সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারাও শিক্ষার্থীদের হাতে মাদক তুলে দিচ্ছেন। তবে মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। অন্তত ২৫ জন বর্তমানে ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। গ্রেফতারও হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক প্রভাবশালী একটি ছাত্র সংগঠনের নেতা ও পুলিশের প্রচ্ছন্ন সহযোগিতা এ ব্যবসা অব্যাহত রয়েছে। তালিকাভুক্তদের অনেকে পাস করে বের হলেও ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক অপকর্মে এখনো জড়িত।
ডিএনসির মহাপরিচালক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মাদক নির্মূলে বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে আমরাই প্রথমে একটি সমন্বিত তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নেওয়ায় আমরাও আমাদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে দিয়েছি। যতদূর জানতে পেরেছি, সমন্বিত তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তবে এরই মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদক নির্মূলে বিশেষ ঘোষণার পর ডিএনসির সদস্যরাও তাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এ পথ থেকে ফেরাতে আমরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তাদের সহায়তা নিয়েই অভিযান চলবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান মাদক নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, তালিকার থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে মূল কাজটি করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ ছাত্রনেতার ছত্রচ্ছায়া : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক মাদকের পৃষ্ঠপোষক ও কারবারি হিসেবে ১৪ জনের নামের মধ্যে একটি প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক দারুস সালাম শাকিল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন হলের আপেল মাহমুদ সবুর, সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য মহসিন হলের ওয়াসিম ভুঁইয়া আলম, সহ-সম্পাদক বঙ্গবন্ধু হলের কামরুজ্জামান, আপ্যায়ন সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মহসিন হলের মাহবুবুল ইসলাম, শামসুন নাহার হলের সভাপতি নিশিতা ইকবাল নদী, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নাজমুল হক (শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি শহীদুল্লাহ হলের মেহেদী হাসান, একই হলের সাবেক সহ-সভাপতি নিজামুল হক, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এস এম হলের আনোয়ার হোসেন আনু ও সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক এহতেশামুল আলম রুমি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে তালিকা হয়েছে তা আমার জানা নেই। এ ধরনের কোনো বিষয় আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। সাম্প্রতিক বিশেষ অভিযানের ব্যাপারে আমার মত রয়েছে।’
জগন্নাথে ওরা ছয় : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সপ্তম ব্যাচের পারভেজ, ফিন্যান্সের অষ্টম ব্যাচের সৌরভ, ক্যাফেটেরিয়ার কর্মচারী আনোয়ার হোসেন, অর্থনীতি বিভাগের নবম ব্যাচের তুষন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের জুয়েল এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দশম ব্যাচের সম্রাট।
জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক কারবারি আছে এ বিষয়টি আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। প্রশাসন থেকে আমাদের এদের নামের তালিকা দিয়ে জানানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছি।’
হাজারীবাগে পাঁচ কারবারি : ঢাকার হাজারীবাগের লেদার টেকনোলজি কলেজকেন্দ্রিক মাদক বাণিজ্য চালাচ্ছেন পাঁচজন। তারা হলেন গণকটুলীর সুন্দর বাবুর স্ত্রী জমিলা, হাজারীবাগ থানা যুবলীগ সদস্য রাইসুল ইসলাম রবিন, কালোনগরের রাজীব, মাজার বটতলার সোহেল ও গজমহল লেনের মহিউদ্দিন সরকারের ছেলে আলাউদ্দিন।
দুই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সিন্ডিকেট : রাজধানীর ধানমন্ডির ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিকেন্দ্রিক মাদক কারবার চালাচ্ছে ২৮ কলাবাগান লেনের রাশেদুর রহমান, ১০৮ পান্থপথের পাভেল এবং সরবরাহ করছে মশিউর আল সোহাগ ও জসিম। ধানমন্ডির ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটিতেও রাশেদুর, পাভেল সক্রিয়। এ ছাড়া আছে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের ঈশা খাঁ এভিনিউর শিবলু, ধানমন্ডির ২৮ সোবহানবাগের তেহারি ঘরের পাশের আশফাক আহমেদ, উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ১৩ নম্বর রোড ও ৩৪ নম্বর বাড়ির আবদুল হাইয়ের ছেলে রিপন মিয়া। উত্তরা ইউনিভার্সিটিতেও রিপন মিয়া মাদক বাণিজ্যে জড়িত। সঙ্গে আছে ৬ নম্বর সেক্টরের শিবলু ও দক্ষিণখানের ফরিদ মার্কেটের সবুজ আলীর ছেলে মামুন। এদিকে ধানমন্ডির ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিকেন্দ্রিক মাদক বাণিজ্যের হোতা ধানমন্ডি থানার একটি সংগঠনের সভাপতি হাওলাদার সুজাউদ্দিন তুহিন। ধানমন্ডি ৫ নম্বর এলাকায় ইয়াবার কারবার তার নিয়ন্ত্রণে চলে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৯ কারবারি : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২ জন ও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭ জন মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্চেন। তবে সবচেয়ে বেশি মাদক কারবারি টাঙ্গাইলের মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে—৪৩ জন।
আরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকের বিষ : কিশোরগঞ্জের ঈশা খাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন, জামালপুরের সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে ২০ জন, মানিকগঞ্জের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে ২৯ জন, মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজে ছয়জন, নারায়ণগঞ্জের রণদাপ্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ জন, গাজীপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ২৬ জন, সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন, গণবিশ্ববিদ্যালয়ে তিনজন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ জন, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ জন, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে তিনজন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে তিনজন, পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটিতে একজন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে দুইজন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে চারজন, চাঁদপুর সরকারি কলেজে ৯ জন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতজন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চারজন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ জন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৪ জন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ জন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ জন, খুলনার নর্থ-ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও নর্দান ইউনিভার্সিটিতে ছয়জন, যশোরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চারজন, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আটজন, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ জন এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ আনা হয়েছে গোয়েন্দাদের তালিকায়।
সর্বনাশা বদি ও তার পাঁচ ভাই : তালিকায় সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে মাদক সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতি বলা হয়েছে। এতে বদির সঙ্গে তার পাঁচ ভাইয়ের নামও উঠে এসেছে। তারা হলেন মৌলভী মুজিবুর রহমান, আবদুস শুক্কুর, মো. সফিক, আবদুল আমিন ও মো. ফয়সাল। তাদের মধ্যে সরকারের প্রায় সব সংস্থার তালিকায় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ছাড়া তার পাঁচ ভাইয়ের নাম রয়েছে। তবে আপন ভাই ছাড়াও তালিকায় বদির পিএস মং মং সেন ও ভাগ্নে সাহেদুর রহমান নিপুসহ আরও বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠভাজনের নাম রয়েছে।
ওরা ২১ পুলিশ : গোয়েন্দা প্রতিবেদনে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে বলা হয়েছে, তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদক ব্যবসা থেকে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিচ্ছেন। কেউ কেউ নিজেরাও মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত রয়েছেন। সেই ২১ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন—মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার এসআই ফারুক, এএসআই জাফর, মানিকগঞ্জ সদর সিআইডির এএসআই শফিউল আলম, কনস্টেবল বাবুল, টাঙ্গাইল ডিএসবির কনস্টেবল মাইনুদ্দীন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার এসআই নহিদ আহমেদ, এএসআই কামরুল ইসলাম, এএসআই রফিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ ডিবির এসআই মোল্লা টুটুল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই রফিকুল ইসলাম, সোনারগাঁও থানার এসআই মফিজুল ইসলাম, গাজীপুর ডিবি পুলিশের এসআই হাসান, জয়দেবপুরের এসআই হাফিজুর রহমান, এসআই মমিন, এসআই সাইদুল, এএসআই রেজাউল, খুলনার হরিণটানা থানার এএসআই মো. রিপন মোল্লা, এএসআই মো. হাসানুজ্জামান, রংপুরের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশফাঁড়ির এসআই এরশাদ আলী, কনস্টেবল হাসান। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নিউমার্কেট থানার এসআই (বর্তমানে পরিদর্শক পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মনির ও এসআই আবাকুর ঢাকা কলেজ এলাকায় মাদক ব্যবসায় নিয়োজিত।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন