ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আন্দোলন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আবার এ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বলে একাধিক নীতিনির্ধারক জানিয়েছেন। দলের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র
জানিয়েছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন সিনিয়র নেতা আলোচনা করেছেন। সে আলোকে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে পুনর্গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুনর্গঠনের কাজ তদারকি করবেন তারেক রহমান নিজেই। তবে আলোচনা থাকলেও জেলা বা মহানগর কমিটির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাজাহান আমাদের সময়কে বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) কারাবন্দির আগে ৭৮ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে বিএনপির ৫১ সাংগঠনিক জেলা কমিটি পুনর্গঠন সম্ভব হয়েছে। বাকি জেলাগুলোর মধ্যে ১৫টির খসড়া কমিটিও প্রস্তুত আছে। বাকি কমিটিগুলোর ব্যাপারে খোঁজখবরও নেওয়া শুরু হয়েছে। নির্দেশনা পেলে দ্রুতই তারও খসড়া প্রস্তুত করা সম্ভব হবে।
by Taboola Sponsored Links You May Like
Auto lening aanvragen? Bekijk nu wat je kunt lenen
Excite Search
Selfie Quadcopter Revolution in Netherlands. The Idea Is Genius
Selfie Drone
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কমিটি গঠন মানে যে সুপার ফাইভ প্রথা ছিল, তা এবার অনুসরণ না করার পক্ষে দলটির নীতিনির্ধারণী মহল। সে ক্ষেত্রে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকÑ এই তিন পদের নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। কমিটি গঠনে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাধীনভাবে কাজ করবেন। কোনো কমিটি গঠনে অভিযোগ উঠলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির কমিটি গঠন করা হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ হয়নি। ৫১ থানা কমিটির বেশিরভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ। ওয়ার্ড কমিটি নেই দীর্ঘদিন।
গত বছরের ১৬ জানুয়ারি রাতে যুবদল ও ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠন হলেও এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ হয়নি। জেলা, মহানগর ও সাংগঠনিক কমিটিরও বেশিরভাগ মেয়াদোত্তীর্ণ। এ দুইটি অঙ্গ সংগঠনের ঢাকা মহানগর কমিটিও পূর্ণাঙ্গ হয়নি। থানা ও ওয়ার্ড কমিটি দীর্ঘদিন না হওয়ায় অসন্তোষ ও স্থবিরতা বিরাজ করছে।
এ বাস্তবতায় আগামী দিনের আন্দোলন এবং জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য এসব কমিটি পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন বিএনপি নীতিনির্ধারকরা। এতদিন দলের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর পর দল পুনর্গঠনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা আরও জোরালো হয়েছে। দলটি মনে করছে, সরকার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে না, তাই বড় ধরনের আন্দোলনে যেতে হবে। আন্দোলন সফল করতে হলে সংগঠন গোছাতে হবে। সম্প্রতি বিএনপির একাধিক নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের সাংগঠনিক চিত্রের পাশাপাশি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরে পুনর্গঠনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।
বিএনপি নেতারা বলছেন, নির্বাচনে কারচুপির একটি বড় শঙ্কা রয়েছে। তাই কেন্দ্র পাহারা দিয়ে নির্বাচনে মাঠে থাকতে হলে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। এ জন্য সারাদেশে দল গোছানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। এ ব্যাপারে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আমাদের সময়কে বলেন, কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার আমাদের সময়কে বলেন, মহানগর কমিটি পূর্ণাঙ্গ, থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনে নতুন তাগাদা আমাদের ওপর আছে। যদিও আমরা আগে থেকেই অনেক কাজ এগিয়ে রেখেছি। সে ক্ষেত্রে কমিটি গঠনে সমস্যা হবে না। আশা করি, ঈদের আগে আমরা অনেকগুলো কমিটি গঠন কাজ শেষ করতে পারব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে প্রথমে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের জেলা, মহানগরসহ বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। জানতে চাইলে যুবদলের গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আমাদের সময়কে বলেন, নির্দেশনা পাওয়ার পর জেলা কমিটি গঠনের ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে সম্ভাব্য নেতাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন