যখনই পুশিল বা র্যাবের গুলিতে কেউ নিহত হয় সঙ্গে সঙ্গেই এটির একটি কেস ইনস্টিটিউট হয়। যাচাইবাছাই করা হয়। নিহতের বিষয়ে অবশ্যই জবাদিহি করতে হয়। বিষয়টি তেমন না যে গুলি করে মারলাম আর পরিষ্কারভাবে বেড়িয়ে গেলাম বিষয়টি তা নয়।
বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম এসব কথা বলেন।
তিনি বিবিসি বাংলাকে আরো বলেন, যে ম্যাজিস্ট্রেট অর্ডার দিয়েছেন তাকে রিপোর্ট করতে হয়, কিভাবে কী হয়েছে। তার সাথে এটিও দেখা হয় যে মারা গেছে এবং যে গুলি করেছে। কোন অস্ত্র দিয়ে মারা হয়েছে, কতগুলো বুলেট খরচ করা হয়েছে, কিভাবে মারা হয়েছে, পেছন থেকে না সামনের দিক থেকে মারা হয়েছে। প্রতিটি প্রশ্ন যে নিহত হয়েছে তার স্ত্রী তিনি যদি মনে করেন যে তার স্বামী নির্দোষ ছিলেন, সে ক্ষেত্রে তিনি মামলা করতেই পারেন।
আগামী নির্বাচনের কথা ভেবেই কি এই অভিযান?
এমন প্রশ্নের জবাবে এইচটি ইমাম বলেন, নির্বাচনের কথা বিবেচনা করে নয়। কিন্তু আমরা মনে করছি এখনো যথেষ্ট সময় আছে। এটিকে নির্মূল করতে হবে। এখনই সময় এর পরে দেরি হয়ে যাাবে।
মেয়াদের শেষ বছরে এসে কেন এই অভিযানের সিদ্ধান্ত নিল সরকার?
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের যে সম্মেলন হলো তখন প্রধানমন্ত্রী খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলেন। সে সময় তিনি বলেন, মাদক সাঙ্ঘাতিক রকমের ক্ষতিকর। এটি জঙ্গিবাদের মতোই আরেকটি সমস্যা। এটিকে আমাদের অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। র্যাবের অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানমন্ত্র বলেছেন। অন্যান্য যে সমস্ত সমস্যা আছে সমাধানের জন্য র্যাবকে নিয়োগ করি। এই জঙ্গিদবাদ নির্মূলেও র্যাব যে রকম শাতন্ত্র দেখিয়েছে তার প্রশংশনীয় মাদকের আক্রমণ, আমদানি ও ব্যবসায় র্যাব জয়লাভ করতে পারবে।
১০ ট্রাক যে মামলা হয়েছিল এর আগে। প্রথমেই শুরু হয়েছিল অভিযান ট্রাক চেকিং তার পরেই শুরু হয় ড্রাগ চেকিং। এই দুটোকে পাহাড়া দেবার জন্য কলম্বিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও অন্যান্য দেশে যান। কিন্তু সেখানে তো এরকম না।
যখনি মাদক অপরাধীদের বাধা দেওয়া হয় বা জব্দ করা হয় তখনি দেখা যায় মাদক ব্যবসায়ীরা প্রথমেই আক্রমণ করে। তাদের কাছে যে প্রচুর অস্ত্র থাকে।
ব্যাপক অভিযান এটা কিন্তু ব্যাপক শিক্ষনীয় বিষয় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে মাদক সেবিদের কি রকম কি হয়। এসব বিষয় নিয়ে আমাদের অনেক কার্যক্রম চলছে। আপনারা দেখবেন, মাদকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও অন্যান্য টেলিভিশনেও অনেক দিন ধরে প্রচার -প্রচারণা চালানো হচ্ছে। মাদকদের কি পরিমাণ ও পরিনতি হয়। আমরা শুরু মাদক নয় ধুম্পানের বিরুদ্ধেও আমাদের মস্ত বড় ক্যাম্পেইন আছে। এই ক্যাম্পেইনটি প্রতিনিয়তই সচল আছে। মাদক বন্ধ করার এখনই উপযুক্ত সময়। এটিকে কোনোভাবেই বাড়তে দেওয়া সম্ভব নয়।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন