নদী দূষণকারীদের উদ্দেশে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, আপনারা সাবধান হয়ে যান। আপনাদের জন্য শিগগিরই আইন তৈরি হচ্ছে। যেখানে জেল-জরিমানার বিধান রাখা হবে।
২৩ মে (বুধবার) নৌ-নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবিতে সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে আয়োজিত ভাসমান সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সময় এসেছে দখলবাজদের প্রতিহত করার। এজন্য সবাইকে এক হতে হবে। মনে রাখতে হবে, নদী দখলের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি।
শাজাহান খান বলেন, ১৯৭১ সালে এদেশের মুক্তিকামী মানুষকে রাজাকাররা হত্যা করেছিল। আজ নব্য রাজাকাররা একইভাবে নদী দখল ও নদী দূষণে লিপ্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের একক প্রচেষ্টায় নৌ-দুর্ঘটনা অনেক কমেছে। গত তিন বছরে একটিও দুর্ঘটনা ঘটেনি। বিএনপি শাসনামলে নৌ-নিরাপত্তা না থাকায় দুর্ঘটনাও ঘটেছিলো বেশি। ওই সময় একজনের (তারেক রহমান) নির্দেশে জাহাজ-কার্গো চলতো। এখন আইনের মাধ্যমে চলে, বিভিন্ন সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এখন কোনও জাহাজ তৈরি করতে হলে তার নকশা আগে দেখাতে হয়। পরে যাচাই করে দেখা হয় সেটি টেকসই হবে কিনা, তারপর অনুমোদন দেওয়া হয়।
দখলকৃত নদী উদ্ধারে অভিযান নিয়মিত চলছে জানিয়ে নৌ-মন্ত্রী বলেন, দখল হয়ে যাওয়া নদীর মধ্যে দেড় হাজার কিলোমিটার নদী এরইমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
নৌ-মন্ত্রী বলেন, নদী খননের জন্য প্রথম বঙ্গবন্ধু উদ্যোগ নেন। তিনি ৭টি ড্রেজার মেশিন কেনেন। পরবর্তী সরকারগুলো কোনো ড্রেজার মেশিন কেনেনি। তাদের কোনো উদ্যোগ ছিল না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ২৫টি ড্রেজার মেশিন কেনেন। এখন নদী খননের কাজ চলমান রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন