আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কড়া নির্দেশ দেওয়ার পরও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা নৌকার পক্ষ্যে এখনও মাঠে সক্রিয় হননি। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার বিজয়ের পর গাজীপুর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু শীর্ষ নেতারা ভোটের মাঠে সক্রিয় না হওয়ায় তৃর্ণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে অনেকটা হতাশা দেখা দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে খুলনার মতো গাজীপুরের নেতাকর্মীদেরকে নৌকাকে জয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ তাদের হারাতে পারে না। গাজীপুর সিটি নির্বাচনী এলাকার দলীয় তিন এমপি আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাহিদ আহসান রাসেল ও মেহের আফরোজ চুমকিকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করার কথা বলেন। ব্যক্তি নয় নৌকাকে জয়ী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে বলেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার এমন বক্তব্য রাখার আগেরদিন রবিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আখতারুজ্জামান, ডা. দীপু মনি, মাহাবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহম্মেদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল, সুজিৎ রায় নন্দী, আবজাল হোসেন, মন্ত্রিসভার সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক ও মেহের আফরোজ চুমকি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। গাজীপুর সদর আসনের এমপি জাহিদ আহসান রাসেলের বাসভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। খুলনার মতো নৌকাকে বিজয়ী করতে গাজীপুরের নেতাদের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। মান – অভিমান ভূলে দলীয় মেয়র প্রার্থীকে জয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই কাজ করবেন বলে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতিশ্রæতি দেন স্থানীয় নেতারা।
তবে অভিযোগ রয়েছে, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ শীর্ষ নেতা এখনও মাঠে সক্রিয় হননি। মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইলিয়াস আহমেদ এই প্রতিবেদককে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে অনেক প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন নেতারা। কিন্তু বাস্তবে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ইফতার পার্টিতে যোগ দেওয়া ছাড়া তৃর্ণমূল কর্মীদের নিয়ে নির্বাচন নিয়ে কোনও পরিকল্পনা করছেন না শীর্ষ নেতারা। বেশিরভাগ ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। ফলে তারা নিজেদের ভোট নিয়েই ব্যস্ত । মেয়র প্রার্থী নিয়ে তারা নিরব রয়েছেন।
জানা গেছে, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আজমতউল্লাহ খান এখনও সক্রিয় হননি। সাতজন সহ-সভাপতিও নিরব রয়েছেন। যুগ্ম সম্পাদক আতাউল্লাহ মÐল সক্রিয় থাকলেও মতিউর রহমান মতি নিরব রয়েছেন। দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্বে থাকা আসাদুর রহমান কিরণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন।
এব্যাপারে মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৮ জুন থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে। যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসেন ও শেখ হাসিনার কর্মী তারা নৌকাকে জয়ী করতে শেষ পর্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠবেন বলে বিশ্বাস করি।
গত ১৫ মে খুলনা ও গাজীপুর সিটির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। খুলনা সিটির নির্বাচন সম্পন্ন হলেও আদালতের নির্দেশে আগামী ২৬ জুন গাজীপুর সিটির নির্বাচন হবে। ।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন