বিএনপি ‘ভারত’কে খুশি করতে একগুচ্ছ প্যাকেজ প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যেখান থেকে শুরু হয়েছে, সেখান থেকেই আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। কোনো বিষয়ে পিছনে না তাকিয়ে সামনে এগিয়ে দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দেওয়া হবে।’ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন পত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত দুই মাসে ভারতীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিএনপির কয়েক দফা বৈঠকের ভিত্তিতে এটি প্রণয়ন করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের জন্য দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, ভারত সরকার অতিমাত্রায় আওয়ামী লীগ নির্ভর হয়ে পড়ছে। এটা ভারতের জন্য বিপদজনক। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ নয়, বাংলাদেশে ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রক্ষা করা উচিৎ বলে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিবেদনে উল্লেখ করে। সে কারণেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে ভারত বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছে।
সূত্রমতে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা কথা বলেছেন। এই সব বৈঠকে বিএনপির নেতৃবৃন্দ মোটা দাগে ৫টি অঙ্গীকার করেছে। এগুলো হলো:
১. ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন সমর্থন দেবে না। বাংলাদেশকে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের করিডোর হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
২. বাংলাদেশ-ভারত, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে, বিএনপি সেগুলো সমর্থন দেবে। ক্ষমতায় গেলে ঐ সম্পর্ককে আরও নতুন মাত্রা দেবে।
৩. বিএনপি পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কের বাইরে আলাদা সম্পর্ক তৈরি করবে না।
৪. বিএনপি তার চীন নীতি পুনঃ:মূল্যায়ন করবে। চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের পরামর্শ বিবেচনায় নেবে।
৫. সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষায় বিএনপি তার নির্বাচনী ইশতেহারে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেবে। বিশেষ করে, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রোশমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে বিএনপি দূরে থাকবে।
তবে বিএনপি তারেক জিয়া এবং উত্তরাধিকারের রাজনীতির ব্যাপারে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেয়নি। তারেক জিয়ার রাজনীতি নিয়েও বিএনপির নেতারা কোনো সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার করতে পারেননি।
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন