আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ভারত গিয়েছিল তিস্তা ও রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ জাতীয় সমস্যা নিয়ে কথা বলার জন্য। এরপরই বিএনপি নালিশ করতে ভারতে যায়। নির্বাচন ও রাজনীতি নিয়ে নালিশ ছাড়া জাতীয় স্বার্থ নিয়ে তারা কথা বলেছে, পত্রিকায় এমন খবর আমরা দেখিনি। বিএনপি দেশে এবং দেশের বাইরে সব জায়গায় শুধু নালিশ করে বেড়াচ্ছে।’
বুধবার সকালে গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নালিশ করতে করতে দূতাবাসগুলোকে তটস্থ করে ফেলেছে তারা। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের পরিচয় হতে পারে না। তাছাড়া, আমাদের দেশের রাজনীতিতে কোনো বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ করার সুযোগও নেই। আর ভারত যদি কেবল আমাদেরই বন্ধু হয়ে থাকে, তাহলে কেন আমরা ২০০১ সালের নির্বাচনে হেরেছি। কেন ২১ বছর ক্ষমতায় আসতে পারিনি আমরা।
তিনি আরো বলেন, ঈদের পরে জোটগুলোর সঙ্গে বসে কে, কোথায় প্রার্থী দেবে তা ঠিক করা হবে। উইনেবল প্রার্থী ছাড়া কাউকে আমরা মনোনয়ন দেবো না। আমাদের কৌশলগত কিছু বিষয় আছে, তাই এ বিষয়ে কোনো বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।
কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচ হচ্ছে দেশের সবচেয়ে ভালো হাসপাতাল। এর চেয়ে ভালো চিকিৎসা আর কোথায় আছে। তিনি একটা বড় দলের চেয়ারপারসন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী। যদি তিনি চিকিৎসা চান, তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়য়ের মতো সিএমএইচ’র বিষয়টা প্রত্যাখ্যান করা উচিত হবে না। আর যদি রাজনীতি করেন তাহলে ভিন্ন কথা।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির দায়ে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়া সম্প্রতি কারাগারে ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ করেন বলে দাবি করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক। বিএনপির দাবি ছিল তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু সরকারের মতে কারাবন্দি বিধায় বেগম জিয়াকে সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা নিতে হবে। সরকার বিএসএমএমইউর কথা বললে তিনি (খালেদা) অসম্মতি জানান। পরে, মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার চিকিৎসার জন্য সিএমএইচে নেওয়ার কথা বলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন