আগামী জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করতে একটি রাজনৈতিক দলকে অপরিহার্য করে তোলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা। তবে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় জনগণ শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। এজন্য সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে। কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
বৃহস্পতিবার এমনি একটি সংবাদ আমাদেরসময়.কম এর ফেসবুক পেজ-এ শেয়ার হওয়ার পর অনেক পাঠক তাদের মতামত জানিয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনের মতামত তুলে ধরা হলো।
মিরাজ হাসান লিখেছেন, মাহতির এবং পুতিন তো বিনা ভোটে আসেনি? জনগণের ভোটের মাধ্যমেই এসেছে। আপরাদেরকে মানুষ ভোট না দিলে কি জোর করে আসতে চান। সেটা জনগণ মেনে নিবে না।
সায়েদ আব্দুল্লাহ জাবির মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদি নয়, শেখ হাসিনাকে আজীবন ক্ষমতায় রাখতে হবে। আর আওয়ামী লীগকে কেয়ামত পর্যন্ত।
গাজী মো: সাদ্দাম হোসেনের ভাষায়, চুলকানি শুরু হয়ে গেছে লুটপাটকারীদের।
জাকিয়া আক্তার লিখেছেন, ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন না দিয়ে আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চায়।
আল ইমরান হোসাইন মির বলছেন, জনগণ ভোট না দিলেও কি ক্ষমতায় রাখতে হবে!
সাইফুল ইসলামের ভাষায়, বিনাভোটে কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকলে কেমন হয়!
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এ মন্তব্য করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
সরকার দলীয় এমপিরা বলছেন, উন্নয়নের কথা স্বীকার করে আগামী নির্বাচনেও দেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে পুনর্বার নির্বাচিত করবে। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের সময় যে নির্বাচনকালিন সরকার দায়িত্ব পালন করবে সেই সরকারের প্রধান হবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই নির্বাচনে কে আসলো বা কে আসলো না, এটা আওয়ালী লীগ কিংবা সরকারের কোন ব্যাপার নয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন