আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন কারীদের সম্পর্কে প্রশ্ন করে বলেছেন, ১৫ টাকা ছিট ভাড়া ৩৮ টাকা খাবার কোথায় আছে পৃথিবীর। নতুন নতুন থাকার হল তৈরি করে দিয়েছি আমরা। ১৫ টাকা সিট ভাড়া ৩৮ টাকা খাবার খেয়ে লাফালাফি করে। তাহলে সিট ভাড়া আর খাবার যা বাজারদর আছে সেই ভাবে দিতে হবে তাদের।
’বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) দশম জাতীয় সংসদের একুশতম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদালতের রায় অমাণ্য করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাদ দেয়া সম্ভব নয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খল সহ্য করা হবে না। যারা ভিসির বাসভবনে হামলা করেছেন তাদের বিরুদ্ধেই আইনীব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, অল্প পয়সায় পৃথিবীর আর কোথাও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা যায় না। এমনকি বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে যাক না কয় টাকায় পড়াশুনা করবে। তার পরেও আমরা পড়াশুনার সুযোগ দিচ্ছি। আর কি ভাবে শিক্ষা দিব তার নীতি মালা সরকার করবে।
এর আগে, কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক বিভ্রান্তি দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। তারা তো আমাদের সন্তান। তারা তো আব্দার করবেই। তারা তো চাকরি চাইবে।তাদের চাকরিতে যেমন করে হোক, প্রোভাইড করতে হবে। চাকরি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে সচেতন আছেন চেষ্টা করছেন। স্পিকারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো, তিনি যেন সহানুভুতির দৃষ্টি নিয়ে এই বিষয়টি বিবেচনা করেন।
এ সময় তিনি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরে উত্তীর্ণ করার দাবি করেন রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন। তিনি দেশকে ভালোবাসেন। জাতিকে ভালোবাসেন। তিনি এটা পারবেন। তিনি না করে পারবেন না।আস
পাঠক মন্তব্য
সরকার গাজা খাওয়া শুরু করছে
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন