রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের বিজয় নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন এক সময়ের আলোচিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি ও বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের পরিচালক আশরাফুল আলম ইমন।
রবিবার রাতে আশরাফুল আলম ইমন তার ফেসবুক আইডিতে এই সন্দেহ পোষণ করেন।
তিনি লিখেছেন ‘২০১৩ সালে জামায়াত-শিবির বুলবুল ভাইয়ের নির্বাচনী মাঠে ছিল অথচ এবার ২০১৮ সালে নাই কেন? এই ব্যর্থতা কার? রাজশাহী বিএনপির ঘাটি হওয়া সত্বেও জামায়াতের সঙ্গ বিহীন বুলবুল ভাই বিজয়ী হওয়া তো দুরের কথা ঠিক মত প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আসতে পারবে কি না তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। বিএনপির বর্তমান কার্যক্রমের ফলে অগ্রিম শুভেচ্ছা রাসিকের আগামী মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ভাইকে।’
জানা যায়, বর্তমানে জামায়াতের রোকন পদে থাকা আশরাফুল আলম ইমন ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে দলবল নিয়ে কাজ করেছিলেন। তবে এবার উল্টোচিত্র। বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে মাঠে তো নামেননি বরং বিএনপির সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সম্পর্কের অবনতির বিষয়টি প্রকাশ্যে তুলে ধরেন।
জামায়াতের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত নির্বাচনে শুধু একটি ওয়ার্ডে জামায়াত কাউন্সিলর এবং দুজন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী দিয়েছিলো। সেটাও হয়েছিলো বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায়। তবে এবার তারা বিএনপির সঙ্গে কোন সমঝোতায় যায়নি। এবার বিএনপির পাশাপশি জামায়াত ১৪টি ওয়ার্ডে একক কাউন্সিলর এবং দুটি ওয়ার্ডে দুজন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী দিয়েছে। আর এসব ওয়ার্ডে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের রয়েছে একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী। এ সুযোগে জামায়াত চাচ্ছে, তাদের দলীয় প্রার্থীদের বের করে আনতে। সিটি নির্বাচন জোটবদ্ধভাবে হলেও জামায়াত বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের জন্য এখনো মাঠে নামেনি। তার পক্ষে কোন মুখও খোলেনি।
রাজশাহী নগর জামায়াতের নায়েবে আমির আবু ইউসুফ সেলিম বলেন, ‘কাউন্সিলর পদে বিএনপি আওয়ামী লীগ কেউই একক প্রার্থী দিতে পারেনি। তারা বলেছে, যে জিতে আসবে সেই তাদের প্রার্থী। আর কাউন্সিলর দলীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে একক প্রার্থী দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভবও নয়। তাই আমরাও ১৪টি ওয়ার্ডে বিএনপির পাশাপাশি একক প্রার্থী দিয়েছি। সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডেও দুজন প্রার্থী দিয়েছি। আমরা কাউন্সিলর নিয়েই ভাবছি। শেষ পর্যন্ত বিএনপির মেয়র প্রার্থীকে জামায়াত সমর্থন দেবে কিনা তা বলতে পারছি না।’
তিনি আরো জানান, ১৯৯৪ সালে জামায়াতের প্রার্থী ১৯ হাজার ভোট পেয়েছিলো রাসিক নির্বাচনে। এবার অন্তত ৩০ থেকে ৪০ হাজার ভোটার রয়েছে তাদের।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ইমন কেনো এসব লিখেছে তা জানিনা। বুলবুল ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী। সবাই কাজ করছে।’
জামায়াতের কে কে বুলবুলের পক্ষে মাঠে নেমেছেন জানতে চাইলে মিলন বলেন, ‘সবাই আছে। থাকবে না কেনো?’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন