হোয়াইট ডিসচার্জ বা সাদা স্রাব মাঝে মাঝেই সমস্যায় ফেলে দেয়। সময়মতো চিকিৎসা না করালে যার পরিণতি হতে পারে ভয়ঙ্কর। এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে। সাদা স্রাব মানেই খারাপ তা নয়। জরায়ুমুখ থেকে পানির মতো এক রকম সিক্রেশন হয়। তাতে কোনো দুর্গন্ধ থাকে না। সাধারণত দুটো পিরিয়ডের মাঝে ওভ্যুলেশনের সময় এই রকম তরল ডিসচার্জ হতে পারে। এটি স্বাভাবিক ব্যাপার।
কিন্তু, পানির মতো না হয়ে অন্য কোনো রঙের স্রাব বের হলে চিকিৎসার কথা ভাবতে হবে। কিংবা মেনোপজের পর যদি সাদা স্রাব হয় আর তাতে রক্তের দাগ থাকে চিন্তার বিষয়। এটা ক্যান্সারের লক্ষণ।
কীভাবে হয় এই ইনফেকশন:
১. জরায়ু পরিষ্কারের জন্য অনেকেই সাবান ব্যবহার করেন। কিন্তু, এটার ফল মারাত্মক। সাবান ব্যবহার করলে জরায়ুতে ইনফেকশন হতে পারে। যার থেকে সাদা স্রাব হতে পারে।
২. আমাশা থেকে সাদা স্রাব হতে পারে।
৩. কৃমি থাকলেও এই সমস্যা হতে পারে।
৪. কোনো অপারেশনের মতো স্ত্রীরোগের যেকোনো অপারেশনের পর ইনফেকশন হতে পারে। এমনকি গর্ভপাত করালেও বা প্রসবের পরও ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে।
কীভাবে বুঝবেন এই সমস্যা হয়েছে:
১. দুর্গন্ধযুক্ত সাদা, হলুদ, খয়েরি বা সবুজ রঙের স্রাব বেরলে।
২. চুলকানি হলে।
৩. তলপেটে অসম্ভব ব্যথা হলে।
৪. শারীরিক মেলামেশার সময়ে ব্যথা হলে।
৫. দুই পিরিয়ডের মাঝখানে ইন্টারকোর্সের সময়ে রক্তপাত হলে।
৬. শরীরে সব মিলিয়ে একটা ভালো না-লাগার অনুভূতি হলে।
অতিরিক্ত সাদাস্রাব-এর কারণ ও লক্ষণ:
১. জরায়ুতে ব্যাকটেরিয়া জন্মালে। জরায়ু সব সময় ভেজা থাকে, তাই তাড়াতাড়ি ব্যাকটেরিয়া বাসা বাধতে পারে।
২. অতিরিক্ত সাদা স্রাবের কারণে কোমরে ব্যথা করে।
৩. গন্ধ যুক্ত সাদাস্রাব নিঃসরণ
৪. তলপেট ভারি হয়ে থাকা
৫. শরীর দুর্বল লাগা
৬. চোখের নিচে কালো হয়ে যাওয়া।
৭. বদ হজম
৮. জরায়ুতে চুলকানি অথবা জ্বালা।
৯. আন্ডার গার্মেন্টস এ দাগ লেগে থাকা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন