ঘুমের সময় শরীর বিভিন্ন পজিশনে থাকে। অনেকে সোজা হয়ে ঘুমান। অনেকের আবার পেটে ভর দিয়ে, পাশ হয়ে আবার বাঁকা হয়ে শোবার অভ্যাস থাকে।
আপনার ঘুমের পজিশনের সঙ্গে ব্যাকপেইন, নাক ডাকা অথবা মাঝ রাতে জেগে উঠার মতো সমস্যার সম্পর্কিত। এমনকি ঘুমের পজিশনে আপনার ব্যক্তিত্বও জানা যায়।
কোন পজিশনে ঘুমালে কী প্রভাব পড়তে পারে জেনে নোওয়া যাক-
পেটে ভর দিয়ে ঘুম
পেটে ভর দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস? এভাবে ঘুমালে সাধারণত ঘুম আরামদায়ক হয় না। শরীরের ক্লান্তিও দূর হয় না। এতে আপনার ঘাড়ের ব্যথা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনি পেট ও কোমরের মাঝখানে একটা বালিশ দিয়ে নিন। যাতে পিঠের পেশি খুব বেশি নড়াচড়া না করে।
মুক্তভাবে পেটে ভর দিয়ে শোয়া
সাত শতাংশ লোকই এই পজিশনে ঘুমান। এই ধরনের পজিশনে পেট এবং ঘাড় বালিশের চারপাশে ছড়িয়ে থাকে এবং মাথা একপাশ হয়ে থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা এভাবে ঘুমায় তারা মন খুলে কথা বলেন এবং সামাজিক হন।
ব্যাক স্লিপিং
এই পজিশনে শোয়ার ফলে অনেকেরই হালকা ব্যাক পেইন হতে পারে। আর আগে থেকেই যাদের এই সমস্যা রয়েছে তাদের ব্যথা আরো বেড়ে যেতে পারে। যাদের নাক ডাকার অভ্যাস, এই পজিশনে শোয়া আরো ক্ষতিকর।
যারা এই পজিশন ছাড়া ঘুমাতে অভ্যস্ত, তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
ঘাড় পেছন দিকে সোজা করে ঘুমানো
বালিশ থেকে ঘাড় নিচের দিকে নামিয়ে শরীরের কাছাকাছি এনে শোয়া। শতকরা ৮ জন এই পজিশনে শুয়ে থাকেন। কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, এভাবে শোয়া ব্যক্তিরা শান্ত এবং অন্তর্মুখী হয়ে থাকেন। এমনকি এরা নিজের এবং অন্যের কাছে বেশি প্রত্যাশা করেন।
স্টারফিসের মতো পেছনে অবস্থান
শতকরা ৫ জন লোক এই পজিশনে ঘুমান। ঘাড় ও হাত কাছাকাছি পেছনের পজিশনে শোয়া। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধরনের লোকদের দেখে মনে হবে তারা ভালো শ্রোতা। আদতে এরা মূল বিষয়ে মনযোগী নন।
পাশ ফিরে শোয়া
বিভিন্ন পজিশনের মধ্যে আরামদায়ক হচ্ছে পাশ ফিরে হাঁটু সামান্য বুকের দিকে রেখে শোয়া।
ভ্রুণের মতো পাশ ফিরে শোয়া
শতকরা ৪০ জন লোক এভাবে বাঁকা হয়ে শুয়ে থাকেন। সাধারণ নারীরা এই পজিশনে বেশি শুয়ে থাকেন। কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের লোকেরা সাধারণত উষ্ণ, মিশুক এবং আবেগময়ী হয়ে থাকেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন