জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের দেশের বেশিরভাগ নারীই পিল খেয়ে থাকেন।কিন্তু দীর্ঘদিন (৫ বা ৭ বছরের অধিক)পিল খেলে নারীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেলে স্ট্রোক, ক্যান্সার ও বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়ে।
পিল খাওয়ার ফলে অনেক নারীর বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, ব্রেস্টে ব্যথা, ওজন বৃদ্ধি, পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া, পিরিয়ডবিহীন ব্লিডিং, বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশন, টেনশনে শারীরিক মিলনের আগ্রহ কমে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে।এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পিল খাওয়াই ভালো। বাজারে অনেক ধরনের পিল আছে । তবে কোন পিল আপনার শরীরের সঙ্গে মানানসই তা জানার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
যে নারীদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি, যাদের ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন আছে এবং যারা কিছুটা স্থূলকায়, তাদের ক্ষেত্রে খাবার পিল স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
এছাড়া দীর্ঘদিন পিল খেলে (৫ থেকে ৭ বছরের অধিক সময়)ব্রেস্ট ক্যান্সার কিংবা জরায়ু মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। তবে জরায়ু মুখের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা থাকে সবচেয়ে বেশি।এছাড়া লিভারের সমস্যাও হতে পারে।
কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলই ২ বছরের অধিক সময় খাওয়া উচিত নয়।দুই বছর পর পর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি পরিবর্তন প্রয়োজন।আর এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
৭ বছরের অধিক সময়ে পিল খাওয়া উচিত নয়। আর দুই বছর পরপর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি পরিবর্তন করা উচিত। পিল খাওয়ার বিকল্পভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ হতে পারে।
টানা দুই বছরের অধিক সময় পিল নয়
টানা দুই বছরের অধিক সময় পিল খেলে নারীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।৭ বছরের অধিক সময় ধরে পিল খেলে স্টোক, ক্যান্সার ও বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়ে।
দুই বছর পর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি পরিবর্তন
দুই বছর পর পর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। দুই বছর পর পর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি পরিবর্তন করলে স্টোক, ক্যান্সার ও বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া শারীরিকভাবেও নারীরা ভালো থাকেন।
কনডম ব্যবহার করা
পিল খাওয়ার চেয়ে কনডম ব্যবহারকে নিরাপদ বলে জানিয়েছেন বেদৌরা শারমিন।কনডম ব্যবহার করলে কোনো ধরনের ঝুঁকি থাকে না।
মিষ্টি ও চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করা
পিল খাওয়ার পরে ওজন বাড়ে।তাই মিষ্টি ও চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।ওজন বাড়লে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পিরিয়ডের আগে ও পরে
পিল বা কনডম কোনো বিছু ব্যবহার ছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণ হতে পারে।এক্ষেত্রে মাসিক শুরু হওয়া থেকে ১০ দিন এবং বন্ধ হওয়ার পরে আবার শুরু হওয়ার আগের ৮ দিন।
ডা. বেদৌরা শারমিন, গাইনি কনসালটেন্ট, সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন