মাথার কাছে মোবাইল ফোনটা চালু রেখে কখনো ঘুমোতে যাবেন না। জরুরি এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ, ফোন কল আসার যতই সম্ভাবনা থাকুক না কেন দিনে, রাতে যখনই ঘুমোতে যাবেন, মোবাইলটা হয় বিছানা থেকে বেশ কিছুটা দূরে রাখবেন বা সেটা বন্ধ করে রাখবেন। না হলেই বিপদ। চালু মোবাইলের ওয়াইফাই বিকিরণ ভয়ঙ্কর ক্ষতি করবে। সম্প্রতি ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের উত্তর জাটল্যান্ডের নবম শ্রেণির একদল ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন রকমের শাকের বীজ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, চালু মোবাইলের ওয়াইফাই বিকিরণ প্রাণের পক্ষে চরম ক্ষতিকর। তা মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে। পরীক্ষার ফলাফলে যথেষ্টই উৎসাহিত ইংল্যান্ড, হল্যান্ড ও সুইডেনের গবেষকরা।
এ ব্যাপারে আরো গবেষণা চালাতে চেয়েছেন স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের বিশিষ্ট গবেষক ওলে জোহানসন। তিনি বেলজিয়ান অধ্যাপক মারি-ক্লেয়ার কামার্তকে সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষাটা আবার করতে চেয়েছেন। পরীক্ষাটা যারা চালিয়েছে সেই ছাত্রছাত্রীদের অন্যতম লি নিয়েলসন জানিয়েছেন, ৪০০ রকমের শাকের বীজের ওপর তারা পরীক্ষাটা চালিয়েছেন। দুটি আলাদা ঘরে একই তাপমাত্রায় ৬টি ট্রেতে ওই শাকের বীজগুলোকে রাখা হয়েছিল। ১২ দিন ধরে ওই দুটি ঘরে রাখা শাকের বীজগুলোকে সমপরিমাণ পানি আর সূর্যালোক দেয়া হয়েছিল তাদের বেড়ে ওঠার জন্য। তাদের মধ্যে শাকের বীজ রাখা রয়েছে এমন ৬টি ট্রেকে রাখা হয়েছিল দুটি ওয়াইফাই রাউটারের কাছাকাছি। সাধারণ মোবাইল ফোন থেকে যতটা বিকিরণ আসে, ওই ওয়াইফাই রাউটারগুলো থেকে বিকিরণ আসে ততটাই।
১২ দিন পর দেখা গেল, ওয়াইফাই রাউটারের কাছে রাখা শাকের বীজগুলো মোটেই বাড়েনি। তাদের বেশির ভাগই হয় শুকিয়ে গেছে কিংবা মরে গেছে। আর যে শাকের বীজ ভরা ট্রেগুলোর ধারে-কাছে কোনো ওয়াইফাই রাউটার ছিল না, সেগুলো খুব সুন্দরভাবে বেড়ে উঠেছে পানি আর সূর্যালোক পেয়ে।নবম শ্রেণির যে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষাটা চালিয়েছে, তাদের মধ্যে ম্যাথিল্ডে নিয়েলসন নামের আর একজন বলেছেন, ‘এটাই প্রমাণ করেছে, ওয়াইফাই বা মোবাইলের বিকিরণ প্রাণের পক্ষে কতটা বিপজ্জনক। তাই আমাদের পরামর্শ, ঘুমোতে যাওয়ার সময় হয় মোবাইল ফোনটা দূরে রাখুন বা বিছানায় রাখতে হলে সেটাকে বন্ধ করে রাখুন। না হলে তা মস্তিষ্ক বা শরীরের পক্ষে খুব বিপজ্জনক হতে পারে।’ সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন