ভ্রমণের সময় অনেকের বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরার সমস্যা হয়। এটাকে বলা হয় মোশন সিকনেস বা গতির অসুস্থতা। গতির (ভ্রমণ) জন্য কানের ভেসটিবুলার অংশের সমস্যার ফলে এই অবস্থা হয়। এ ধরনের সমস্যা ভ্রমণকে কষ্টদায়ক করে তোলে। বমি যাতে না হয় সে জন্য অনেকেই ভ্রমণের আগে ওষুধ খেয়ে নেন। তবে কিছু খাবারও রয়েছে যা খেলে বমি ঠেকানো সম্ভব।
জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট এমন কয়েকটি খাবারের নাম উল্লেখ করেছে। আদা বমি প্রতিরোধী খাদ্য হিসেবে বেশ পরিচিত; এটি হজমের জন্য উপকারী। যদি আপনার বমির সমস্যা হয় তাহলে ভ্রমণের আগে আদার চা পান করতে পারেন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বমি প্রতিরোধেও এটি কার্যকর। পুদিনার চা বমি বন্ধে বেশ উপকারী। পুদিনা পাতা ভালোভাবে ধুয়ে একটু মধু মিশিয়ে চায়ের সঙ্গে খেতে পারেন।
আর পথে থাকলে কিছু পুদিনা পাতা চাবাতেও পারেন। এর গন্ধ বমি বমি ভাব ও বমিরোধে সাহায্য করবে। দারুচিনি বমিনাশক উপাদান হিসেবে উপকারী। আপনি দারুচিনির চা খেতে পারেন। চাইলে স্বাদ বাড়াতে একটু মধুও যোগ করতে পারেন এর সঙ্গে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সকালের অসুস্থতা কাটাতে এবং বমি দূর করতে দারুচিনির চা খুব কার্যকর। পেঁয়াজের জুস দ্রুত বমি ভাব থেকে মুক্তি দেয়। পেঁয়াজ এবং আদা থেঁতলে জুস করে একসঙ্গে পান করতে পারেন। এটি ভালো কাজ করে।
বমি বমি ভাব ও বমি থামানোর জন্য কিছু লবঙ্গ মুখে নিয়ে চাবাতে পারেন। এর স্বাদ বাড়াতে একটু মধু যোগ করতে পারেন। পাকস্থলী ভালো রাখতেও লবঙ্গ বেশ উপকারী। এলাচ চাবানোও দ্রুত বমি রোধে বেশ উপকারী; এটি হজমের জন্য ভালো। আপনি এলাচ ও দারুচিনির চা পান করতে পারেন। গরম লেবুর পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে পান করতে পারেন।
মাথাব্যথা, বমি এবং বমি বমি ভাব দূর করতে এই পানি উপকারী। ভ্রমণের আগে জিরার গুঁড়া পানির মধ্যে মিশিয়ে পান করতে পারেন। এটি বমি দূর করতে সাহায্য করবে। মৌরিও বমি বমি ভাব এবং বমি রোধে সাহায্য করে। দ্রুত বমি ভাব দূর করতে কিছু মৌরি চাবাতে পারেন। মৌরির চা পান করতে পারে ভ্রমণের আগে।
মানবকণ্ঠ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন