বাচ্চা থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধরাও চকোলেট খেতে পছন্দ করেন। অনেকেই আবার চকোলেট খাওয়াকে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি হিসেবে মনে করেন। তবে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খেলে ত্বকের কোনো ক্ষতি হয় না। বরং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। একই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতি লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ড স্কাইতে নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খাওয়ার ৬টি সুফল তুলে ধরা হয়েছে। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক চকোলেট খাওয়ার উপকারী দিকগুলো-
১.ত্বকের ক্ষতিকারক উপাদান দূর করে
স্বাদে সামান্য তেঁতো হলেও ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ডার্ক চকোলেটের কোনও বিকল্প নেই। সম্প্রতি বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন অল্প পরিমাণে ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা ত্বকের গভীরে লুকিয়ে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ফলে ত্বক তুলতুলে হয়ে উঠতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে অল্প দিনেই ত্বক ফর্সা করে।
২.ত্বকের ক্ষতি কম হয়
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, চকোলেটে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান শরীরে অতিবেগুণি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে সূর্য রশ্মির কারণে ত্বক পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তাই এই গরমে ত্বককে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে ডার্ক চকোলেট খাওয়া বাধ্যতামূলক!প্রসঙ্গত, অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বক ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই এই মারণ রোগ থেকে যদি দূরে থাকতে চান, তাহলে নিয়মিত চকোলেট খেতে ভুলবেন না যেন।
৩.ত্বকে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে
শরীর ও ত্বকের সৌন্দর্য তখনই বৃদ্ধি পায়, যখন পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। আর ডার্ক চকোলেটে উপস্থিত ভিটামিন, মিনারেল এবং উপকারি খনিজ যা নানাভাবে ত্বকের পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৪.ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়
ডার্ক চকোলেটের পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর তা ত্বকে লাগিয়ে ভাল করে ম্যাসাজ করুন। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসবে। সেই সঙ্গে স্কিন উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠতেও সময় লাগবে না। আসলে ডার্ক চকোলেটের সাহায্যে ত্বকের পরিচর্যা করলে স্কিনের উপরিংশে জমতে থাকা মৃত কোষের আবরন সরে যায়। ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে চোখে পরার মতো।
৫.চুল পড়া কমায়
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রেস এবং পরিবেশ দূষণের কারণে প্রায় সবারই চুল পড়ার হার মাত্রাতিরিক্তি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে অসময়ে মাথা টাক হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এমন পরিস্থিতিতে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে চকোলেটের কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে তরল চকোলেট মাথার ত্বকে লাগাতে হবে। অথবা নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করতে হবে। এতে চুলের গোড়ায় পুষ্টির ঘাটতি দূর হবে। পাশাপাশি মাথায় রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। ফলে চুল মজবুত হয়।
৬.মাথার ত্বকে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে
ডার্ক চকোলেটে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান মাথার ত্বকে সংক্রমণের প্রকোপ কমায়। ফলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আর এতে ত্বকে ক্ষতিকর জীবাণুর মাত্রাও কমে যায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন