বংশের ইতিহাস
স্বাস্থ্যের যেকোনো বিষয়ে বংশের ইতিহাস জানা খুবই জরুরি। আদিপুরুষ বা পরিবারের সদস্যের বা রক্তের সম্পর্ক আছে এমন ব্যক্তির স্বাস্থ্যগত অবস্থা আপনার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
বয়স
আপনার বয়স যত বাড়ছে, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তত কমছে। বয়স্কদের রক্তচাপের সমস্যা তাই অতি সাধারণ বিষয়।
লিঙ্গ
নারী-পুরুষ ভিন্ন মাত্রায় এইচবিপির ঝুঁকিতে থাকে। পুরুষরা ৬৪ বছর পেরোলেই হাইপারটেনশনের ব্যাপক ঝুঁকিতে পড়ে যায়। আর নারীদের ৬৫ পেরোলেই বিপদ। যদিও ব্যক্তিভেদে ঝুঁকির মাত্রা কমবেশি হতে পারে।
জাতিগত বৈশিষ্ট্য
গবেষণায় দেখা গেছে, আফ্রিকান-আমেরিকানরা অন্যান্য জাতির মানুষ অপেক্ষা অনেক বেশি এইচবিপির ঝুঁকিতে থাকে। এর কারণ এখনো খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা।
ক্রনিক কিডনি রোগ
যারা কিডনি রোগে ভুগছে, তাদের হাইপারটেনশন দেখা দেয়। এলোমেলো রক্তচাপ কিডনির রোগকে আরো বাজে অবস্থায় নিয়ে যায়। এই দুটি রোগই নীরব ঘাতক, যারা একে অন্যের পরিপূরক হয়ে ওঠে।
ব্যায়ামে অনীহা
ব্যায়াম না করা বড় ধরনের বদভ্যাস। ফিট থাকতে পারলে সহসা হাইপারটেনশন দেখা দেয় না। একটু বেশি হাঁটাহাঁটি করবেন, দৌড়াবেন আর ঘরের শ্রমঢালা কাজগুলো করলেই ব্যায়াম হয়ে যাবে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
দোকানের প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। যারা এগুলো বেশি খায়, তাদের উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেওয়া বিচিত্র নয়। আবার কাঁচা লবণ বেশি খেলে হাইপারটেনশন খুব দ্রুত দেখা দেয়।
স্থূলতা
স্থূল দেহ বহু রোগের আবাসস্থল। মোটা মানুষ সব সময়ই উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিতে আছে। তাদের উচিত যেভাবেই হোক ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা।
কোলেস্টেরল
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের বেশির ভাগের দেহে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল মেলে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্ষতিকর লো ডেনসিটি লাইপো প্রোটিন বা এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
ডায়াবেটিস
এই রোগ যার আছে তার দেহে যেকোনো নয়া রোগ বাসা বাঁধতে পারে। ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা উচ্চ রক্তচাপে ভোগে। রোগ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রক্তচাপ সহনীয় পর্যায়ে আসে। এ ছাড়া আর কোনো গতি থাকে না।
উদ্বেগ
আধুনিক জীবন মানুষকে মানসিক চাপ দিয়েছে। বাসা, অফিস বা যেকোনো বিষয়ে দৈহিক ও মানসিক চাপে অস্থির মানুষ। ক্রমাগত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা মানুষকে হাইপারটেনশনের ঝুঁকিতে ফেলে দেয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন