আবাসন সমস্যা ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা একটি নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত এর কবলে পড়ে হাজার হাজার প্রাণ অকালে নিভে যাচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী। যার প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী আবাসিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে। বাকিদের ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী জেলা কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহে মেসে এবং বিভিন্ন ভাড়া বাসায় থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনগুলো শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী বহনের জন্য কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে প্রতিদিন ৬ শিফটে চলাচল করে। কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়কগুলোর মধ্যে একটি। এতে প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনগুলো সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ফলে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনার বলি হতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
গত ২৯ মার্চ ও চলতি মাসের ১৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীসহ আহত হয়েছেন ২৫ জন। এখন পর্যন্ত কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪টি নিজস্ব এবং ৩৩টি ভাড়া বাস চলাচল করে। এতে নিজস্ব ও ভাড়া গাড়ি মিলে দিনে সর্বমোট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের সিংহভাগ ব্যয় হয় পরিবহন খাতে। এ দিকে প্রতিদিন ক্যাম্পাসে যাতায়াত করতে শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত দুই ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হয়। গাড়ির সংখ্যা কম হওয়ায় গাদাগাদি করে গন্তব্যে যেতে হয় তাদের।
একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিদিন যে হারে দুর্ঘটনা ঘটছে তাতে আমরা আতঙ্কের মধ্যে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করি। কখন বুঝি দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু কি করব? ক্যাম্পাস তো যেতেই হবে। সম্পূর্ণ আবাসিক সুবিধা না থাকায় প্রতিদিন যাতায়াতে অনেক সময় নষ্ট হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘আবাসন সংকট এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই পরিবহন নির্ভর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য শতভাগ আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন