বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই ভিসিকে একই পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রাতের আঁধারে পালিয়ে গেছেন। আরেকজন মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পালিয়েছেন। তিনিও পালিয়েছেন রাতের আঁধারে পুলিশ প্রহরায়। এর পাশাপাশি আগের ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধিবহির্ভূত নিয়োগ দিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন। তোপের মুখে তাকে ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হয়েছে। আর সদ্য বিদায়ী ভিসি আগের ভিসির নিয়োগের বৈধতা দিয়েছেন নিজের অনুসারী বাড়ানোর জন্য। তবে শেষতক তাকেও একই পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে। ক্যাম্পাস ছেড়ে অনেকটা পালিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। যেন বেরোবির অগ্নিগর্ভ ক্যাম্পাস থেকে হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন তিনি।
জানা গেছে, সাবেক ভিসি প্রফেসর আবদুল জলিল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের পর থেকেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। একের পর এক অবৈধ নিয়োগের মাধ্যমে বিতর্কিত হয়ে পড়েন তিনি। এক পর্যায়ে তার পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দুর্নীতির অভিযোগে অপসারণ করা হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তোপের মুখে ২০১৩ সালের মে মাসে রাতের আঁধারেই পালিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিবারের সদস্যদের রেখেই কোনমতে পালিয়ে যান। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে চার্জশিটও দেয়া হয়েছে।
ছবি : বাঁ থেকে ড. আবদুল জলিল ও ড. এ কে এম নূর-উন-নবী
এদিকে ড. আবদুল জলিল চলে যাওয়ার পর নতুন ভিসি হিসেবে যোগ দেন প্রফেসর ড. এ কে এম নূর-উন-নবী। শুরুতে তিনি বেশ দক্ষতার সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছিলেন। আস্তে আস্তে তিনিও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। সাবেক ভিসির অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের চাপের মুখে নতি স্বীকার করতে হয়েছে তাকে। একপর্যায়ে অনেকের অবৈধ নিয়োগের বৈধতা দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন সময় চাকরির দাবিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে অবরুদ্ধ থাকতে হয়েছে তাকে। শেষতক তাকেও চলে যেতে হয়েছে রাতের আঁধারে। চলতি বছরের ৫ মে মধ্যরাতে ভিসি পুলিশ প্রহরায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন। তবে তিনি মেয়াদ শেষ করতে পেরেছেন। যদিও তার বিদায় বেলাটা সুখকর ছিল না।
বর্তমানে বেরোবি অভিভাবক শূণ্য হয়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আশা বেরোবিতে এবার একজন যোগ্য সৎ ভিসিকে নিয়োগ দেয়া হবে। যিনি দক্ষতার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচালনা করবেন।
ক্যাম্পাসলাইভ২৪
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন