রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য-ট্রেজারারসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য রয়েছে। এতে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। অভিভাবকহীন ক্যাম্পাসে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীও নিয়মিত অফিস করছেন না, বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি অনুষদের ডিন ও বেশকিছু বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করতেন। কিন্তু পদ খালি হওয়ায় সেসব বিভাগের ফলাফল প্রকাশ ও সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে। ভিসিহীন ক্যাম্পাসে একাডেমিক কার্যক্রমের ধীরগতিতে ভয়াবহ সেশনজটের আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে চলতি মাসেই নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার মুহম্মদ ইব্রাহীম কবীর।
এর আগে, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবীর মেয়াদ শেষ হয় গত ৫ মে। সেদিন রাতেই দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ মাথায় নিয়ে বাসভবনের পেছনের গেট দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়েন তিনি। ফলে উপাচার্য, ট্রেজারার, পরিবহনপুলের পরিচালক, তিনটি অনুষদের ডিনসহ একাধিক পদ শূন্য হয়ে পড়ে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়গত ১৫ মে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে ক্যাম্পাস খুললে এই শূন্যতায় ক্রমান্বয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা শুরু হয়। বিভিন্ন দফতরে প্রয়োজনীয় ফাইলপত্র স্বাক্ষরের অভাবে জমা পড়তে থাকে। এমনকি, অভিভাবকহীন ক্যাম্পাসে জবাবদিহিতার অভাবে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীই ঠিকমত অফিস করছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক বলেন, ‘উপাচার্য না থাকার কারণে অনেক বিভাগের পরীক্ষা কমিটির অনুমোদন হওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে একাডেমিক কার্যক্রমে স্থবিরতা হওয়াটা স্বাভাবিক।’
সার্বিক বিষয় জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহম্মদ ইব্রাহীম কবীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে পড়ছে এমন অভিযোগ মানতে নারাজ। ‘সাময়িক কিছু সমস্যা হচ্ছে’, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চলতি মাসেই নতুন উপাচার্য নিয়োগ হতে পারে। নতুন উপাচার্য এলেই সাময়িক সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন