রাতের অন্ধকারে বিদ্যালয়ে ঢুকে এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষার খাতা সংশোধন করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন একই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ছেলেসহ ৩ শিক্ষার্থী।
রোববার রাতে মাদারীপুরের সরকারি ইউনাইটেড ইসলামিয়া (ইউআই) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হচ্ছেন- প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারী শিক্ষকের ছেলেসহ আরও এক শিক্ষার্থী।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীরা ঘটনায় বিচার দাবি করে সোমবার স্কুলের মধ্যে বিক্ষোভ করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, চলতি এসএসসি টেস্ট পরীক্ষার বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় সোমবার দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
বিদ্যালয়ের মূল ভবনের দরজার চাবি ছিল সহকারী শিক্ষিকা কবিতা রাণী মালো’র কাছে। তার ছেলে অভ্র মালো বাসা থেকে চাবি নিয়ে তার বন্ধু একই শ্রেণির ছাত্র শাকিল ও প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলামের ছেলে জায়েদকে নিয়ে সন্ধ্যার পর বিদ্যালয়ের ভেতরে ঢোকে। প্রধান শিক্ষক ও এক শিক্ষিকার ছেলে হওয়ায় তাদের চাপের মুখে ভেতরে ঢুকতে দেয় নিরাপত্তা প্রহরী।
পরে ওই তিন শিক্ষার্থী ভেতরে ঢুকে খাতায় লিখতে শুরু করলে স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে তাদের চ্যালেঞ্জ করে এবং আটকে রাখে। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং ওই শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে বের করে দেয়।
এদিকে এই খবর সকালে ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের বিচার দাবি করে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম বলেন, আমি ছুটিতে বরিশালে ছিলাম। বিদ্যালয়ের চাবি ছিল সহকারী শিক্ষক কবিতা রাণী মালো’র কাছে। আমার ছেলেসহ যেসব শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ঢুকে পরীক্ষায় খাতায় লিখতে চেয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সহকারী শিক্ষক কবিতা রাণী মালো বলেন, আমার কাছে যে চাবি ছিল তা ঘরে রেখেছিলাম। আমার ছেলে চুরি করে চাবি নিয়ে স্কুলে ঢুকে পড়ে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, আমাকে এখনও কেউ বিষয়টি জানায়নি। আমি ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি, এমন ঘটনা লুকানো হয়েছে কেন এবং কেন জানানো হয়নি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন