জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ব্যাংকে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে বাগবিতণ্ডার পর এক শিক্ষার্থী অপর শিক্ষার্থীকে কুপিয়েছে। মনোবিজ্ঞান বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিথুন বাড়ৈকে কুপিয়েছে বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম শান্ত। পরে মিঠুন বাড়ৈকে অাহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।
তারা দুজনই নিজেদের জবি শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি তরিকুল ইসলামের গ্রুপের কর্মী বলে দাবি করেছেন। তবে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেছেন, তারা ছাত্রলীগ কর্মী নন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মনোবিজ্ঞান বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিঠুন বাড়ৈ অগ্রণী ব্যাংকে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা জমা দেয়ার সময় বোটানি বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম শান্তর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বাগবিতাণ্ডার একপর্যায়ে মিঠুন বাড়ৈ শান্তকে চড় মাড়েন। শান্তও পাল্টা অাঘাত হিসেবে তার সঙ্গে থাকা খুর দিয়ে মিঠুনকে কুপ দেন। এতে মিঠুনের ডান হাতের বাহুতে যখম হয়। কুপ দিয়ে পেছনের গেট দিয়ে শান্ত পালিয়ে যান।
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডিকে জানালে সহকারী প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে মিঠুনকে ঢামেক হাসপাতালে দ্রুত পাঠান। সেখানে মিঠুনকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সহকারী প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল জাগো নিউজকে বলেন, মিঠুনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
তৌহিদুল ইসলাম শান্ত বলছেন, তিনি জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামের গ্রুপে সম্প্রতি ময়মনসিংহ গ্রুপ থেকে যোগ দিয়েছেন।
শান্ত ঘটনার সতত্য স্বীকার করে বলেন, ‘অামার এক অাপু ব্যাংকে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা দিচ্ছিলেন। মিঠুন বাড়ই তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি করেন। অামি মিঠুনকে থামতে বলি। সে অামাকে ঘুষি মারে। অামার হাতে রড ছিল। রড দিয়ে তার হাতে অাঘাত করি। তারপর বড় ভাইদের নির্দেশমতো চলে অাসি।’
যদিও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, তার হাতে খুর ছিল, যা দিয়ে তিনি কুপিয়েছেন।
বড় ভাই কারা জানতে চাইলে শান্ত প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। রাজনীতি করেন কি না জানতে চাইলে শান্ত বলেন, অামি জবি ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ভাইয়ের সঙ্গে রাজনীতি করি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ব্যাংকে টাকা জমা দেবার সময় দুজন সাধারণ শিক্ষার্থীর মধ্যে মারামারি খবর শুনে অামাদের কয়েকজন নেতাকে পাঠাই। তারা অাহত মিঠুন বাড়ইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত না।
তৌহিদুল ইসলাম শান্তর স্বীকারোক্তির বিষয় স্মরণ করিয়ে দিলে তরিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় অামরা কলাভবনের সামনে ছাত্রদলবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ করছিলাম। অামার ছাত্রলীগের কর্মী হলে তো তারা অামাদের সঙ্গেই থাকত।
জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল অাবেদীন রাসেলও জাগো নিউজকে বলেন, ব্যাংকে দাড়ানোকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। ছাত্রলীগ এর সঙ্গে জড়িত নয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন