গাজা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতে গিয়ে একপর্যায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সার্জেন্ট জহুরুল হক ছাত্রলীগ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়(বুয়েট) ছাত্রলীগের কর্মীরা। এতে বুয়েটের ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহত বুয়েটের ৫ শিক্ষার্থী হলেন মহুরী, দিব্য, অনিক, সৌরভ ও সাদমান। তাঁদের মধ্যে সাদমানের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা যায়।
আহত সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছাত্রলীগ সুত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে বুয়েট ক্যাম্পাসে বুয়েটের কয়েকজন শিক্ষার্থীর গাজা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ অক্টোবর শুক্রবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরানকে ধরে নিয়ে যায় বুয়েটের ছাত্রলীগের কর্মীরা। এই সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। জহুরুল হক হলের উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা লাঠি, রামদা, হকিস্টিক নিয়ে ইমরানকে উদ্ধার করতে গিয়ে বুয়েট শহিদ মিনারের সামনে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এই সময় বুয়েটের ৫ শিক্ষার্থীর মাথা আঘাত লাগে। একি সময় বুয়েটের বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠি-রড নিয়ে পলাশি মোড়ের পাশে অবস্থান করে। এই অবস্থায় পলাশি মোড়ে গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ পলাশির মোড়ে অবস্থান গ্রহণ করে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদার পরিবর্তনকে বলেন, গতকাল বৃহষ্পতিবারের ঘটনায় আমার হলের কেউ জড়িত ছিল না। আবাসিক এলাকার ছেলেরা জড়িত ছিল। বুয়েটের শিক্ষার্থীরা আজ আমার হলের এক শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে যায় । এতে তার বন্ধরা তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে এই সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনার জন্য বুয়েটের শিক্ষার্থীরা দায়ী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্রজ্যোতি টীকাদার পরিবর্তনকে বলেন, ‘জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আমাদের হলে গিয়ে হামলা চালায়। এ হামলায় ঘটনায় আমাদের পাঁচ কর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে ঘটনাস্থলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স আসেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান পরিবর্তনকে বলেন, আমরা দুই পক্ষকে নিয়ে বসব। যারাই দোষী তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ঘটনাস্থলে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। এই সময় তিনি পরিবর্তনকে বলেন, আমি ইতিমধ্যে উপাচার্যকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা দুই বিশ্ববিদ্যালয় এই ঘটনায় বসব। যারা দোষী তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন