ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করেছে অন্য ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
.
বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে কার্জন হল এলাকায় ঢাকা কলেজের কয়েকজন ছয়জন শিক্ষার্থী তিনটি বাইকে এসে ঢাবির তিন ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে । এ সময় এই ছাত্রীরা তাদের বন্ধুদের ফোন দেয়। পরেন ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সায়েমসহ আরো কয়েকজন। ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় তারা ঢাকা কলেজের ওই শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এ সময় ঢাবির ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি সিসিম ঘটনাস্থলে যান । পরে মারধরের শিকার ঢাকা কলেজের ওই শিক্ষার্থীদের পরিচিতজন ঢাবির এএফ রহমান হল ছাত্রলীগের নেতা লয়েড, সিয়ামসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বাংলা একাডেমীর সামনে জড়ো হন। সেখানে তারা ছাত্রলীগ নেতা সায়েমকে মারধর করেন।
ছাত্রলীগ নেতা সায়েম বলেন, ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে। আমি তাদের বাধা দেই। পরে আমি বাংলা একাডেমীর দিকে বাইক চালিয়ে আসছিলাম। এসময় তারা এবং এফ রহমান হলের কয়েকজন আমাকে মারধর করে।
এ বিষয়ে ঢাবির ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগের সভাপতি সিসিম বলেন, ‘আমি হলে ছিলাম। আমার এক বন্ধু ফোন করে তিন ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের বিষয়টি জানায়। আমি সেখানে গিয়ে তাদের (ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী) বের করে দিই। পরে শুনলাম তারা জহুরুল হক হলের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মেরেছে।’
ছাত্রলীগ কর্মীর উপর হামলাকারী লয়েড লিংগুস্টিক বিভাগের ছাত্রলীগের কমিটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত
এবং সিয়াম এফ রহমান হলের ছাত্রলীগের কর্মী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষার কিছুটা পক্ষ নিয়ে বলেন, ঢাকা কলেজের ওই শিক্ষার্থীরা আমার হলের কয়েকজন পরিচিতো ছিলো। তাই হয়তো মেরেছে।
উত্ত্যক্তকারীদের পক্ষে কি আপনি কথা বলছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, এখানে বহিরাগতরা জড়িত তবে আমার হলের হয়তো কেউ জড়িত থাকতে পারে। তবে আমি বিষয়টি দেখবো।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন