ফেসবুক, হোয়াটস ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটস অ্যাপ, ইমোর মতো সামাজিক মাধ্যমগুলো আগের মতো চালু থেকেই শুরু হলো এসএসসি পরীক্ষা।
প্রশ্ন ফাঁস রোধে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবার যেসব কৌশলের কথা ভেবেছিলেন তার একটি ছিল সীমিত সময়ের জন্য সামাজিক মাধ্যমগুলো বন্ধ রাখা। পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে থেকে পরীক্ষা চলাকালে এই মাধ্যমগুলো বন্ধ রাখার প্রস্তাবও তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসিকে দিয়েছিলেন।
গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, প্রশ্ন ফাঁস করে তা সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে দেয়া হতো। এটা স্পষ্ট যে যারা এই কাজগুলো করেছে তাদের কোনো ধরনের বাণিজ্যিক স্বার্থ ছিল না। কারণ, বিনামূল্যেই প্রশ্ন এবং এর উত্তর দেয়া হতো। সরকারের নানামুখি ব্যবস্থার পর গত দুই তিন বছর ধরে ফেসবুকে প্রশ্ন এসেছে পরীক্ষা শুরুর কিছু সময় আগে। এ কারণেই এবার পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে থেকে সামাজিক মাধ্যম বন্ধের কথা ভেবেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
গত ২৩ জানুয়ারি সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তার মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রথম এই চিন্তার কথা জানান মন্ত্রী।
তবে আইসিটি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার তার এই চিন্তার সঙ্গে একমত ছিলেন না। ঢাকাটাইমসকে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনোকালেই কোন কিছু বন্ধ করার পক্ষে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যদি কোন হুকুম করে তা মেনে নেয়া আমার জন্য বাধ্যতামূলক।’
মন্ত্রী এমনও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, প্রযুক্তি দিয়েই প্রযুক্তি মোকাবেলা করা যায়। বন্ধ করে এর কোন সমাধান হয় না।’ পরে শিক্ষামন্ত্রীকে সংসদেও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। আর তিনি জানান, এ বিষয়ে তার মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না, তারা অনুরোধ করেছেন মাত্র।
আর পরীক্ষা শুরুর আগের দিন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, আইসিটি মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসি অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিটিআরসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি, তারা (প্রশ্নফাঁসকারীরা) আপনাদের ফেসবুক ব্যবহার করে বিভিন্ন দিকে প্রশ্ন ছড়িয়ে দিচ্ছে। এর জবাবে তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তারা বলেছেন, প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে তারা ইফেকটিভলি ব্যবস্থা নেবেন।’
‘সীমিত সময়ের জন্য বন্ধ রাখবেন কি রাখবেন না সেটাও তারা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন। এ ব্যাপারে বিষয়টি আমরা তাদের উপরে ছেড়ে দিয়েছি।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে পরীক্ষা। এবার পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগেই পরীক্ষার্থীরা ঢুকেছে হলে হলে।
আবার পরীক্ষা হলে কেন্দ্র প্রধান ছাড়া কাউকে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আর কেন্দ্র প্রধান এমন মোবাইল ফোনই নিয়ে যেতে পেরেছেন, যাতে ছবি তোলা বা ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই।
পরীক্ষা শুরুর পর ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটস অ্যাপ, ইমোর মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোতে আগের মতোই যোগাযোগ করা যাচ্ছে।
ঢাকাটাইমস/
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন