জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠছে। কয়েকদিন আগে এক ছাত্রকে র্যাগিংয়ের নামে এমনভাবে নির্যাতন করা হয়েছে ওই ছাত্র বাবাকেও ভুলে গেছেন। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আরেক ছাত্রকে র্যাগিংয়ের পর পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে। র্যাগিংয়ের প্রতিবাদ করায় ওই ছাত্রকে বেধরক পেটানো হয়েছে। জাবিতে একের পর এক র্যাগিংয়ের ঘটনায় অনেকটা ইমেজ সংকটে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যারলয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে র্যাগিংয়ের ব্যাপারে জিরো টলারেন্সের কথা বলা হলেও অনেকটা ফ্রি স্টাইলেই যেন চলছে এমন অপকর্ম।
জানা গেছে, সোমবার র্যাগিংয়ের নামে জাবির এক জুনিয়র ছাত্রকে সিনিয়র শিক্ষার্থীরা মারধর করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনি হলের সামনে ওই ঘটনা ঘটে। শার্টের কলার সোজা ও হাতা গুটিয়ে রাখায় তাকে পেটানো হয়েছে।
সোমবার ওই ছাত্রকে দেখেই সিনিয়র কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে ঘিরে ধরেন। এসময় তার পরিচয় জানার পর তাকে একের পর এক প্রশ্নবানে জর্জরিত করা হয়। একপর্যায়ে ওই ছাত্র এর প্রতিবাদ করলে চেহারা পাল্টে যায় সিনিয়র শিক্ষার্থীদের। জামার হাতা গুটানো কেন পেটা ওরে এই বলে তার ওপর হামলে পড়ে শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তাকে পিটিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। পরে ওই ছাত্রের সহপাঠীরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৪৬ ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ৪৭ তম ব্যচের ভিকটিম আশিকুর কৈফিয়ত দিতে অস্বীকার করলে ৪৬ ব্যাচের আল বেরুনি হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জোবায়েদ আশিক, সজীব আহমেদ রাজ, শাহরিয়ার শরীফসহ আরো কয়েকজন মারপিট শুরু করে। মারপিটের একপর্যায়ে আশিকুরকে পুকুরে ফেলে দেয় তারা।
এ বিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর তপন কুমার সাহা বলেন, জামার হাতা গুটিয়ে রাখায় মারধর করা হয়েছে বলে জেনেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন