ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে স্থায়ী বহিষ্কৃত ১৫ জনের একজন মো. বায়জিদ। দেড় মাস আগে তাঁকে বহিষ্কার করা হলেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক আবাসিক হলে থাকেন।
অভিযোগ উঠেছে বায়জিদ জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের ছত্রছায়ায় আছেন।
২০১৬-১৭ সেশনের ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ৫৮তম হয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন বায়জিদ। এক লাখ টাকার বিনিময়ে তাঁকে পরীক্ষার আগের দিন প্রশ্নপত্র দেওয়াও হয় বলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অভিযোগপত্রে জানা যায়।
বায়জিদের কয়েকজন বন্ধু জানান, বায়জিদ শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের বর্ধিত ভবনের ২০০৭ নম্বর রুমে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে বহিষ্কার করার পরেও হলে থাকতে দেখা গেছে। মাঝেমধ্যে বিরতি দিয়ে থাকছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁর এক বন্ধু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বায়জিদকে গত বুধবার হলে দেখেছি। তিনি বাইরেও থাকেন।’
হল ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, বায়জিদ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের অনুসারী এবং হল ছাত্রলীগের উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। তিনি হলে থেকে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অংশ নেন।
ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি বায়জিদসহ মোট ১৫ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর এক মাসের মাথায় গত ৩০ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সিন্ডিকেট সভা থেকে তাঁদের স্থায়ী বহিষ্কার করে প্রশাসন।
হলে থাকার বিষয়ে জানতে বায়জিদের মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন ও খুদে বার্তা দিলেও উত্তর পাওয়া যায়নি।
হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বায়জিদকে ছাত্রলীগ থেকে এখনো বহিষ্কার করা হয়নি। দ্রুত বহিষ্কার করা হবে। সে আর হলে থাকে না।’
এ বিষয়ে জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দেলওয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের পর কেউ হলে থাকতে পারে না। আমি খোঁজ নিচ্ছি। হলে থাকলে ব্যবস্থা নেব।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন