নেত্রকোণার একটি কলেজে এইচএসসির ভূগোল প্রথমপত্র পরীক্ষার দিন দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন খুলে ফেলার ঘটনাটি কোনো গফিলতির কারণে হয়নি বলে জানিয়েছেন দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের সচিব ও অধ্যক্ষ ফারুখ আহমেদ তালুকদার। তিনি এই ঘটনাটিকে মারাত্মক ভুল আখ্যা দিয়েছেন।
রবিবার এই ঘটনা ঘটার পরদিন সোমবার ঢাকাটাইসের সঙ্গে আলাপকালে ফারুখ আহমেদ তার প্রতিক্রিয়া জানান।
রবিবার সকালে সকাল ১০টা থেকে বেলা একটা নাগাদ ভুগোল প্রথমপত্রের পরীক্ষা ছিল। স্থানীয় থানা থেকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে প্রশ্নপত্র নেয়া হয় কলেজ কেন্দ্রে।
সেখানে প্রশ্নপত্র খোলার পর দেখা যায় এটি দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন। পরে ঢাকা বোর্ড সোমবার অনুষ্ঠিতব্য ভূগোল দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা স্থগিত করে এবং এই পরীক্ষা আগামী ১৪ মে পরীক্ষা নেয়ার কথা জানানো হয়।
কেন্দ্র সচিব বলেন, ‘থানা থেকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে প্রশ্নপত্র নিয়ে আসেন কেন্দ্র তত্বাবধায়ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার প্রতিনিধি ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুর শাকুর সাদী, কেন্দ্র সচিবের প্রতিনিধি কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সদস্য প্রভাষক সাদেকুর রহমান তালুকদার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে কনস্টেবল আরিফ হোসেন।’
‘সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রশ্নপত্র খোলার সময় কক্ষেই কিছুটা অমনোযোগী অবস্থায় ছিলাম। প্রশ্নপত্র খোলার পর দ্বিতীয়পত্র দেখতে পাওয়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়।’
‘দ্রুত থানা থেকে প্রথমপত্রের প্রশ্ন এনে পরীক্ষা শুরু করতে করতে নয় মিনিট দেরি হয় এবং তা শিক্ষার্থীদেরও নয় মিনিট বাড়িয়ে দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়।’
বিষয়টি নিয়ে নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খালিদ হোসাইনকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এই কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। আর এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাৎক্ষণিকভাবে প্রভাষক সাদেকুর রহমান তালুকদার ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুর শাকুর সাদীর বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদেরকে পরীক্ষা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন