ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি এবং প্রক্টরই গুজবের মহানায়ক বলে মন্তব্য করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নূর এ মন্তব্য করেন।
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্দ্রেীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হোসেন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হক বলেন, ওই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং প্রক্টর সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশাকে বহিষ্কার করে। কিন্তু কোনো অদৃশ্য কারণে জানি না রাতের বেলা যে কথা বলেছেন সকাল বেলা মাননীয় ভিসি এবং প্রক্টর স্যার তাদের কথা ঘুরিয়ে নিলেন। না এশা এটা করেনি। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, এশাকে হেনস্তার অভিযোগে
প্রশাসন ২৫ ছাত্রীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে যে এ ছাত্রীরা নাকি অসত্য, বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে গুজব ছড়িয়েছেন। আমি বলি, তারা যদি গুজব ছড়ায় তাহলে ভিসি স্যার এবং প্রক্টর সে গুজবের মহানায়ক। কারণ ঘটনার পরপরই ভিসি এবং প্রক্টর গণমাধ্যমে বিষয়টি স্বীকার করে বলেছিলেন। এশার দোষী হওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন তারা। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছেন।
নূর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাহলে সেদিন সত্য তথ্য উদঘাটন না করে কিসের ভিত্তিতে বহিষ্কার করেছিলেন। নাকি কোনো প্রভাবশালী গোষ্ঠীর চাপে বহিষ্কারদেশ প্রত্যাহার করেছে। তা জাতির কাছে প্রশ্ন।
এ সময় তিনি বলেন, আমি মনে করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাধারণ ছাত্রীদেরকে আন্দোলনের কারনে হয়রানি করার উদেশ্য এই ২৫ জনকে নোটিশ দিয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে হাসান আল মামুন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ক্দ্রে করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারধর, নিযাতন হল ত্যাগের হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। একটি অতিউৎসাহী ও কুচক্রি মহল সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য এসব নোংরা ও ঘৃণ্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ সময় সুফিয়া কামাল হলে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণ দর্শানোর নামে সাধারণ ও নিরপরাধ ছাত্রীদের হয়রানি না করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানান তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন