পৌষের তৃতীয় সপ্তাহে এসে সারা দেশে জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। একদিনে সারাদেশের তাপমাত্রা এক থেকে আট ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে গেছে। বিশেষ করে ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে শীতের প্রকোপ বেশি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, দেশের বেশির ভাগ এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে রাতে শীতের অনুভূতি আগের মতোই থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে দুই দিন ধরে যে শীতল দমকা হাওয়া বইছে, তা অব্যাহত ও শীতের তীব্রতা আরও অন্তত ৪ দিন থাকতে পারে। দেশের নদী এলাকাগুলোতে মৃদু থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে।
এদিকে বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা এক লাফে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়। গত বুধবার সেখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল তা কমে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পরিণত হয়েছে। তবে গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই এবারের শীতের এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শীত ঋতুর মাঝামাঝি এসেও কয়েক দিন ধরে দেশের বেশির ভাগ এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরেই ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, সাধারণত কয়েকটি কারণে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে তাপমাত্রা কমে যায়। গত দু'দিনে উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপবলয়ের কারণে মেঘ কেটে গেছে। ফলে শীতল বায়ু দেশের বিভিন্ন এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। তাই হঠাৎ শীত বেড়ে গেছে। আগামী দু-এক দিন এ শৈত্যপ্রবাহ ও ৩-৪ দিন শীত অব্যাহত থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, শৈত্য প্রবাহের এ অবস্থা আরো ৪ দিন থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাসিফিক ইএনএসও ক্লাইমেট সেন্টারের প্রধান বিজ্ঞানী রাশেদ চৌধুরী বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রার বৃদ্ধির দীর্ঘ মেয়াদী গড় থেকে বর্তমান সময়ের শীত হ্রাস পাচ্ছে এটা ঠিক। তবে শীতকালীন ‘লা নিনার’ কারণে এবার বাংলাদেশের কোথাও কোথাও কিছুদিন কিছুটা বেশি মাত্রায় ঠাণ্ডাও পড়তে পারে।’
শীর্ষনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন