চলতি মাসের ৩১ জানুয়ারি পৃথিবীর আকাশে দেখা যাবে `ব্লাড মুন‘। রক্তিম আভায় এই চাঁদ উঠবে বলে এর নাম দেওয়া হয়েছে `ব্লাড মুন‘ বা রক্তিম চাঁদ। লাল এই চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে নানা পরিকল্পনা চলছে। কেউ সমুদ্র সৌকতে যাওয়ার তো কেউ উঁচু কোনো স্থান থেকে উপভোগ করতে চান এই চাঁদ।
কিন্তু এই চাঁদ কি শুধু উপভোগ করার জন্য। নাকি ভয়েরও কোনো কারণ আছে। রক্তিম এই চাঁদ কি কোনো অশনি সংকেত নিয়ে আসছে পৃথিবীতে। `ব্লাড মুন‘ নিয়ে জানা-অজানা কিছু তথ্য এখানে দেওয়া হলো:
একসঙ্গে ঘটবে তিনটি ঘটনা...
জানুয়ারির এই চাঁদ শুধু লাল হবে না। আরও একটা বিশেষত্ব থাকবে। কারণ এইদিন একই সঙ্গে চন্দ্রগ্রহণ, সুপারমুন এবং ফুলমুন দেখা যাবে। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে, এমন ঘটনা সত্যিই বিরল।
ব্লাড মুন ও চিন্তার কারণ...
ব্লাড মুন বলার কারণ হলো চাঁদের রং হবে লাল। কিন্তু চাঁদ তো মাঝে মাঝে লাল দেখায়। হয়তো এবার একটু বেশি লাল দেখাবে। কিন্তু এটার জন্য ভয়ের কিছু কি আছে? উত্তর হলো, আছে। কারণ পৃথিবী কতটা দূষণ হয়েছে তা এই রং দেখে বোঝা যাবে। আর বিজ্ঞানী বলেছেন, যেখানে যতবেশি দূষণ সেখানে তত বেশি চাঁদ লাল হবে।
এই চাঁদ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মতামত...
চাঁদ রক্তিম আভা নিয়ে পৃথিবীতে হাজির হলেও এটা খুব অবাক বা অস্বাভাবিক ঘটনা নয় বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে জওহরলাল নেহরু প্ল্যানেটোরিয়ামের বিজ্ঞানী এইচআরমধূসুদন বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা ঘটেই থাকে। এটা বিশেষ কিছু নয়। বাতাসে কত ধুলো রয়েছে তার ভিত্তিতে চাঁদ রং পাল্টাবে। কোথাও বেশি লাল হয় তো কোথাও ধূসর।
শেষ ব্লাড মুন দেখা গেছে...
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন লাল চাঁদ দেখা যাবে ১৫০ বছর পরে। ভারতে ও পৃথিবীর অন্য প্রান্তে এর আগে ১৯৬৩ ও ১৯৮২ সালে এমন চাঁদ প্রত্যক্ষ করা গিয়েছিল।
জ্যোতিশাস্ত্রে ব্লাড মুনের ব্যাখ্যা...
জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর্যভট্ট ৫৭৬ খ্রিস্টার্বে ব্লাড মুনের ব্যাখ্যা দিয়েছেলেন বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। তবে লাভা নিঃসরণের ফলে বাতাসে ধূলোর মাত্রার প্রেক্ষিতে একে বর্ণনা করা হয়।
চাঁদ পৃথিবীর নিকটে আসবে বলে...
পৃথিবী থেকে চাঁদের সবচেয়ে বেশি দূরত্ব হলো চার লাখ পাঁচ হাজার ৭০০ কিলোমিটার। আর ৩১ জানুয়ারি তা পৃথিবী থেকে সবচেয়ে কম দূরত্ব অবস্থান করবে। পৃথিবী থেকে যার দূরত্ব হবে তিন লাখ ৫৮ হাজার ৯৯৩ কিলোমিটার দূরে।
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন