বৈশাখ শুরু হতে এখনও দিন পনেরো বাকি। তার আগেই রুদ্ররূপ ধারণ করেছে বেপরোয়া বৈশাখ। গত ৪৮ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে বেশ কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন কয়েকজন। আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক মানুষ। অনেক স্থানে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। আগামী আরও দু-দিন বৈশাখের এই আগাম তাণ্ডব থাকবে বলে আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গিয়েছে। সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে ব্যাপক হারে। তবে এবার কালবৈশাখী মোকাবিলায় আগাম সতর্কতা অবলম্বনের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
কৃষিজীবীরা বলছেন, গত দুদিন অতীতের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি শিলাবৃষ্টি হয়েছে। আর তাতে ধানী জমির সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নতুন করে আবারও শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া হলে দেশে ব্যাপক ফসলহানির আশঙ্কাও করছেন বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা।
এখন মধ্য চৈত্র। গাছে গাছে আম, আর লিচুর মুকুল প্রকৃতিকে মাতোয়ারা করে তুলেছে। বিশেষত, দেশের উত্তরাঞ্চলে গত দুদিনের ঝড়োবৃষ্টি আর কালবৈশাখীর তাণ্ডবে অনেক স্থানে প্রচুর মুকুল ঝরে যেতে দেখা গেছে। আর তাতে মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীদের ইতোমধ্যে মাথায় হাত পড়েছে।
এদিকে শনিবার আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিম বঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া এপ্রিল ও মে মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন