বর্তমানে বিশ্ব সবচেয়ে বেশি মানুষ খ্রিস্ট ধর্মে বিশ্বাসী। আর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম হলো ইসলাম। এছাড়া বৌদ্ধ ও হিন্দুদের সংখ্যা কম নয়। ইসলাম ছাড়া অধিকাংশ ধর্মের লোকই মূর্তি পুজা করে। কেবল ইসলাম একমাত্র ব্যাতিক্রম। প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ, ধর্মপ্রচারক, বক্তা ও লেখক ডা. জাকির নায়েককে একবার এ রকম একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। তাকে প্রশ্ন করা হয়, বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা ১৫-২০ শতাংশ। আর অধিকাংশ মানুষই মূর্তিপূজা করে। খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও হিন্দুদের অধিকাংশই মূর্তি পূজা করে। অথচ আপনাদের সংখ্যা মাত্র ২০ শতাংশ। তাহলেও কি সবই ভুল সবই মিথ্যা?
এ ব্যাপারে জাকির নায়েক বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি উত্তরে বলেন, ‘ইসলামে সংখ্যাগুরু দিয়ে সত্যকে মাপা যায় না। ইসলাম সবার ওপরে সত্যকে বিশ্বাস করে। কয়েক শ’ বছর আগেও পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করত পৃথিবী সমতল। তাহলে পৃথিবী কি সমতল? না। তাহলে বেশির ভাগ মানুষেরই ভুল হতে পারে।’
‘ইসলাম ধর্মে সূরা ইসরার ৮১ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, ‘বল! সত্য উপস্থিত হয়েছে, মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। মিথ্যা প্রকৃতগত কারণেই বিলুপ্ত হবে।’ আপনি আমেরিকা যান সেখানে দেখবেন অধিকাংশ মানুষ পর্নোগ্রাফিতে বিশ্বাসী। অথচ আপনি এটাকে বিশ্বাস করেন? করেন না। কিন্তু পশ্চিমাবিশ্বের অধিকাংশ মানুষই পর্নোগ্রাফিতে বিশ্বাস করে। তাহলে কি আপনি ভুল বিশ্বাসে আছেন? অবশ্যই না।’‘আল্লাহ তায়ালা চাইলে পৃথিবীর সকল মানুষকে মুসলিম বানাতে পারতেন। তিনি ‘কুন’ (হও) বললেই (ফাইয়াকুন) হয়ে যেত। কিন্তু এ জীবনটা হচ্ছে পরকালের জন্য পরীক্ষা। আল্লাহ যদি চাইতেন পৃথিবীর কোন মানুষ মূর্তি পূজা করবেন না তাহলে তো আর পরীক্ষা থাকল না।’
‘পরীক্ষাটা হচ্ছে, আল্লাহ আপনাকে কিছু আইন দিয়েছেন সেটা মানা না মানা আপনার ব্যাপার। আর যে সকল মানুষ মূর্তি পূজা করে তারা তাদের নিজেদের ধর্মই মানছেন না। কারণ কোন ধর্মেই মূর্তিপূজার কথা বলা হয়নি। মানুষই এগুলো বানিয়ে নিয়েছে। হিন্দু ধর্মের ধর্মগ্রন্থ বেদেও মূর্তি পূজার কথা বলা হয়নি। গৌতম বৌদ্ধও কখনো মূর্তি বানাতে বলেননি। খ্রীস্টান ধর্মের ওল্ট স্টেটম্যানেও মূর্তি পূজার কথা বলা হয়নি। তারপরও যদি কেউ মূর্তি পূজা করে তাহলে কি সে সত্য হয়ে গেল?’
‘কেউ যদি কাল নবী মুহাম্মদ সা. এর মূর্তি বানিয়ে তাঁর পূজা করে আমি বলব সেটা ভুল। কারণ নবী মুহাম্মদ সা. কখনোই তার মূর্তি বানাতে বলেননি। অতএব কেউ যদি ভুল কাজ করে থাকে সেটা কখনই সত্য হয়ে যায় না। চাই তারা সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু। তাই কেউ কোন ধর্ম মানতে গেল অনুসারীদের দেখবেন না। আমি বলব সে ধর্মের ধর্মগ্রন্থকে দেখুন। কোরআন দেখুন।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন