আলী আহম্মদ মাবরুর
ছোটবেলা থেকে বর্তমান আমীরে জামায়াত মকবুল আহমাদ চাচার সাথে যতবার দেখা হয়েছে, ততবারই ওনার কথাবার্তার একটি কমন ট্রেন্ড লক্ষ্য করেছি। এই ধরনের কথা মকবুল চাচার জন্য কমন, ওনার পরিবারের সদস্যরাও সেই সাক্ষ্য দেবেন নিশ্চয়ই। কেননা তারাও কমবেশী এই সব কথাবার্তা শোনায় অভ্যস্ত।
মকবুল চাচার সাথে দেখা হলেই তিনি কুশলাদি জানতে চাইতেন। কিছুক্ষন সময় গেলেই শুরু হতো ওনার সেই কমন কথাবার্তা। কথাগুলো এভাবে মকবুল চাচা ছাড়া আমরা সেভাবে অার কারও কাছ থেকে শুনিওনি।
যেটা বলছিলাম, মকবুল চাচা সাক্ষাতের কিছু সময় যাওয়ার পরই আমাকে ওনার স্বভাবসুলভ ঢংয়ে জিজ্ঞাসা করতেন, “চাচা মানোন্নয়ের কি খবর, কতদূর আগাইলা। ”
আমি আমার মত উত্তর দিতাম। সর্বশেষ অবস্থার আপডেট দিতাম।
তারপর তিনি অাবারও বলতেন, “দেখ চাচা, তোমরা এই প্রজন্ম মাশাআল্লাহ অনেক যোগ্য, বুদ্ধিমান। তোমরা যখনই আমাদের কাছে আসো, আমাদের নানা সীমাবদ্ধতা নিয়ে অবজার্ভেশন দাও, মতামত দাও। অামাদের দূর্বলতাগুলো নিয়ে আলোচনা কর। আমি এটাকে পজিটিভলি নেই। আমি বিশ্বাস করি, তোমরা যোগ্য বলেই এত কিছু তোমাদের চোখে পড়ে। আর সংগঠনের প্রতি তোমাদের দরদ আছে বলেই এগুলো বলো, এতটা ভাবো। তোমাদের মত লোকেরা যদি সামনে এগিয়ে আসতো, মুভমেন্টের কত উপকার হতো ভাবো...”
কিছুটা সময় নিয়ে মকবুল চাচা তার কথা কন্টিনিউ করতেন, “আমি খেয়াল করে দেখেছি অনেকেই মানোন্নয়ন করতে ভয় পায়। আসলে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। মানোন্নয়ন হলে তোমরা পরাধীন হয়ে যাইবা, এমনটা ভাইবোনা। আসলে আমরা তো একটা সিস্টেমে চলি, একজন জনশক্তি মানোন্নয়ন করলে সে তখন আমাদের সিস্টেমের মধ্যে চলে আসলো। তখন আমাদের হিসাব করতে সুবিধা হয়, তারে বিভিন্নভাবে তখন অামরা কাজেও লাগাতে পারি। তাই আমরা বারবার মানোন্নয়নের কথা বলি। ”
আমীরে জামায়াত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে অন্য অনেক কথার ভীড়ে কেন যেন এই কথাগুলো বার বার আমার কানে ভেসে আসছে। হে আল্লাহ আপনি মকবুল চাচার মত খালেস মানুষকে গায়েবী মদদ দিয়ে সাহায্য করুন। আমিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন